
ছবি: সংগৃহীত
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ ঘিরে যখন উত্তেজনার পারদ চূড়ান্তে, তখন একে একে বেরিয়ে আসছে সেই যুদ্ধের অজানা অধ্যায়। যুদ্ধের শুরুতে ইসরাইলের শীর্ষ নেতাদের গা ঢাকা দেওয়া, বিমান সরিয়ে নেওয়া, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দেশত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যেই এবার সরব হলেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। দিলেন এক বিরল স্বীকারোক্তি ইরানে চালানো হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া জানান,
*“আমাদের এই অভিযান সফল হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সহায়তায়। তারা শুধু সহযোগিতাই করেনি, বরং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সহায়তা করেছে।”*
তিনি আরও বলেন, এই যৌথ কার্যক্রমই ইরানের ভেতরে এত বড় অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে।
প্রথম দু’তিন দিন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরাইলের নেতারা ছিলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। এমনকি গুজব রটে যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ইরান পাল্টা হামলা শুরু করলে ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলো সরিয়ে নেওয়া হয় অন্যত্র, এমন তথ্যও সামনে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এখন ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও মোসাদ প্রধানের ভাষ্য অনুযায়ী, ইরানের সব প্রকল্পে নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন,
“আমরা ইরানের সব গোপন প্রকল্পের ওপর সতর্ক নজর রাখব। যুদ্ধবিরতি মানেই আমরা সতর্কতা কমিয়ে দেব, এমনটা ভাবার সুযোগ নেই।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইসরাইলে গোয়েন্দা প্রধানদের নাম ও পরিচয় দীর্ঘদিন গোপন রাখা হতো। কয়েক বছর আগেও ডেভিড বার্নিয়ার নাম প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা* ছিল। সেই জায়গা থেকে এমন প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি বিরলই নয়, প্রায় নজিরবিহীন।
এই বক্তব্য যুদ্ধের পেছনের আন্তর্জাতিক জটিলতা, গোপন সমঝোতা এবং যৌথ অপারেশনের চিত্র পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই স্বীকারোক্তি শুধু বর্তমান যুদ্ধ নয়, ভবিষ্যতের মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলবে।
ছামিয়া