
উপজেলার খাগরিয়া ভরা শঙ্খের উপর নির্মাণাধীন বটতল ব্রিজের কাজ দীর্ঘ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। খাগরিয়া বাসীর দুঃখ ভরা শঙ্খের উপর বটতল ব্রিজ। বর্ষা মৌসুম এলে এপ্রোচ সড়কে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৬৫ টাকা বরাদ্দ দিয়ে দেওয়ান হাট-খাগরিয়া ভোর বাজার জিসি সড়কে ভরা শঙ্খের উপর বটতল ব্রিজ নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ২০ মিটার ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এ আলী এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার কম মূল্যে নির্মাণ কাজ নিয়ে বিপাকে পড়ে। পরবর্তীতে কাজটি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে না পারায় কাজের টেন্ডার বাতিল করা হয়। ভরা শঙ্খের উপর বক্স কালভার্ট ভেঙ্গে ২০ মিটার ব্রিজটি নির্মাণ হলে খাগরিয়া বাসীর দুঃখ গুছবে।
এ ব্রিজ দিয়ে খাগরিয়া ভোর বাজার, নুরু মার্কেট, মজিদার পাড়া, আমিরখীলসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা খাগরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, খাগরিয়া মজিদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকতারিয়া মাদরাসা, জমিদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রফেসর আহমদুর রহমান মেমোরিয়াল স্কুল, শাহ আমানত সোসাইটি স্কুল, আয়েশা খাতুন-এ্যানুমিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা, পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমদাদুল উলুম মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে। সে সাথে প্রতিদিন ঐ এলাকার ১০ সহ¯্রাধিক মানুষ দোহাজারী সদর, চট্টগ্রাম শহর, বিভিন্ন হাসপাতালসহ সরকারি অফিস আদালতে যাতায়াত করে থাকে। খাগরিয়া এলাকার শঙ্খ নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। এসব এলাকায় উৎপাদিত সবজি দোহাজারী বা চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যেতে কৃষকদের প্রচুর ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ঐসব এলাকায় ৩০ হাজারের অধিক লোকজন বসবাস করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাহী।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩ বছর সময় ধরে এ ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর দুঃখের সীমা নেই। বর্ষা মৌসুম এলে এপ্রোচ সড়ক কদমাক্ত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে কোন ভাবে চলাচল করতে পারলেও যানবাহন চলাচল পুরোদমে বন্ধ হয়ে পড়ে। কোন কারণে বয়ষ্ক ও রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কষ্টে পড়তে হয় এ এলাকার মানুষের। তাই তিনি জরুরিভাবে ব্রিজ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে জনগণের জন্য উম্মুক্ত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেছেন, ১ম ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যাওয়ার কারণে টেন্ডার বাতিল করে অন্য ঠিকাদার দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণে মূল বরাদ্দ ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৬৫ টাকায় কাজ শেষ করতে আরো একমাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে বাকি কাজ বৃষ্টির জন্য সময় লাগছে বলে জানান। বৃষ্টির কারণে এপ্রোচ সড়কের কালভার্ট ভেঙ্গে পড়েছে। (ছবি আছে)
শিহাব