
ছবি: জনকণ্ঠ
পরীক্ষামূলকভাবে রাশিয়ান আঙ্গুর চাষ করে সফল হয়েছেন রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ জিল্লুর রহমান। ইউটিউবে আঙ্গুর চাষ দেখে তার বন্ধু সদর উপজেলার বাগমারা এলাকার আঙ্গুর চাষী সরোয়ার বাবুর কাছ থেকে রাশিয়ান জাতের আঙ্গুর চারা সংগ্রহ করেন তিনি। রোপনের আট মাস পরেই তার বাগানে থোকায় থোকায় দুলছে রং বে রং এর আঙ্গুর। এ বছর ১৬ শতাংশ জমিতে আঙ্গুরের চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় আগামী বছর আরো তিন বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, এ বছর ১৬ শতাংশ জমিতে আঙ্গুরের চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় আগামী বছর আরো তিন বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়াও তার আঙ্গুর বাগানের সাথে রয়েছে পাচ বিঘা জমিতে বিদেশী মালটা, কমলা, কেনু মালটাসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। সেখানেও ব্যাপক ফলন আশা করছেন।
বাগান দেখতে আসা ফয়সাল শেখ, জব্বার প্রামানিক, আমজাদ হোসেন বলেন, এই প্রথম সরাসরি গাছে আঙ্গুর দেখলাম। খুবই ভালো লাগছে দেখে।আঙুরগুলো অনেক মিষ্টি। প্রতিটি ঝোপায় ২০০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত আঙুর আছে। জিল্লুর আঙ্গুরের বাগান দেখে আমাদেরও স্বল্প পরিসরে হলেও আঙুর চাষ করার ঈচ্ছা জেগেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি পাংশার যশাই ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের মোঃ জিল্লুর রহমান নামে একজন উদ্যোক্তা রাশিয়ান আঙ্গুর চাষ করছেন। আমরা এই ধরনের উদ্যোক্তাদেরকে সবসময় উৎসাহ করে থাকি। কারণ তারা যেনো নতুন জাতের ফসল গুলো চাষ করে। এবং যে ফসল গুলো আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করি সে ফসল গুলো যদি আমাদের দেশিও পরিবেশের সাথে এডাফট করে চাষ বৃদ্ধি করা যায় তাহলে হয়তো আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আমরা স্ব-নির্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
সাব্বির