
"ডায়াবেটিস আছে? আম ছুঁয়ো না!" এমন সতর্কবাণী শুনে অনেকেই গ্রীষ্মের রসালো এই ফলটির স্বাদ থেকে আজীবন দূরে থাকেন। কেউ কেউ ওজন কমানোর দোহাই দিয়ে ঝুঁকেন না এই ‘ফলের রাজার’ দিকে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা ও পুষ্টিবিদদের মত বলছে, এই ধারণা অনেকটাই ভুল!
পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক জানালেন, “ডায়াবেটিকরাও আম খেতে পারেন। তবে পরিমিতভাবে। একটা মাঝারি সাইজের আম ‘স্ন্যাক্স’ হিসেবে খাওয়াই যায়।”
আম মানেই কি ওজন বাড়ে?
এই ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
-
১০০ গ্রাম আমে থাকে প্রায় ৬০-৬৫ ক্যালরি।
-
২৫০ গ্রামের একটি আমে প্রায় ১৫০ ক্যালরি থাকে।
এটি অন্যান্য খাবারের তুলনায় খুব বেশি নয়, বিশেষ করে যদি তা খাবার তালিকার অংশ হিসেবেই রাখা হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন বাড়া-কমার সঙ্গে শুধুমাত্র কোনো একটি খাবারের সম্পর্ক নেই। বরং প্রতিদিনের মোট ক্যালরি গ্রহণ, খাবার প্রক্রিয়া ও সময়, এবং শরীরচর্চা এই তিনের উপরেই নির্ভর করে আপনার ওজন।
তাহলে আম কি ভালো?
হ্যাঁ, অনেক দিক থেকেই। কারণ আমে রয়েছে—
-
ভিটামিন সি, এ, ই, কে
-
ফোলেট (বি৯)
-
আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস
-
এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এছাড়াও আমে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা শরীরের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। যদিও আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) তুলনামূলক বেশি, তবুও পরিমিত খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না।
ডায়াবেটিকদের জন্য কী পরামর্শ?
-
প্রতিদিন একটুকরো বা একবেলার জন্য ১টি মাঝারি আকারের আম খাওয়া যেতে পারে।
-
খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। বরং স্ন্যাক হিসেবে দুপুর বা বিকেলে খান।
-
অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের পরিমাণ সেদিন কমিয়ে নিন।
-
নিয়মিত ব্লাড সুগার চেক করুন।
মিমিয়া