
ইরানে সাম্প্রতিক গোপন অভিযানের জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়া। একইসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, ইরানের ওপর নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।
বুধবার সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় ডেভিড বারনিয়া বলেন, “আমরা সতর্ক থাকবো, ইরানের প্রতিটি প্রকল্পকে গভীরভাবে নজরদারির মধ্যে রাখবো। যেমনটা আমরা আগেও করেছি, তেমনই থাকবো।”
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ১২ দিনের বিমান অভিযানে মোসাদ তাদের সদস্যদের ইরানে পাঠিয়ে বিভিন্ন অস্ত্রব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে ১৩ জুন রয়টার্সকে জানিয়েছিল এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্র। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার এই অভিযান শেষ হয় এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।
বারনিয়া বলেন, “আমি আমাদের প্রধান সহযোগী সিআইএর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও স্বীকৃতি জানাই। যৌথ কার্যক্রমে তারা আমাদের পাশে থেকেছে এবং পুরো অপারেশনটি সম্ভব করেছে।”
রয়টার্সের খবরে আরও জানানো হয়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও মোসাদ বহু বছর ধরে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য প্রয়োজনীয় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে আসছিল। এই অভিযানে ইরানের একাধিক সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন।
বুধবার রাতে সম্প্রচারিত আরেকটি ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির বলেন, “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে গভীর, ব্যাপক ও ধ্বংসাত্মক আঘাত হানা হয়েছে। এই ক্ষতি পূরণ করতে তাদের অনেক বছর লেগে যাবে।”
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ গোয়েন্দা তৎপরতার এই সামরিক পরিণতি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলের স্পষ্ট বার্তা, ইরানের কার্যক্রমে নজরদারি কমানো হবে না। বরং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ প্রতিহত করতে মোসাদ থাকবে সর্বদা প্রস্তুত।
সূত্র:রয়টার্স
আফরোজা