
ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সদ্য অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণের ফলাফল ঘিরে দলে চরম বিভেদ দেখা দিয়েছে। ১৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে কাজল মাজমাদার ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কুষ্টিয়া পৌর এলাকার ২১টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের পর গত শুক্রবার (২৬ জুন) কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে পৌর কমিটি গঠনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন করেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
মোট ১ হাজার ৪৯১ জন ভোটারের মধ্যে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু ৬১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজল মাজমাদার পান ৫৯৫ ভোট—মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন।
ভোট গণনার পরপরই ফল প্রত্যাখ্যান করে কাজল অভিযোগ করেন, “গণনার সময় আমি স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলাম। পরে কারচুপি করে আমাকে হারানো হয়েছে।”
শনিবার বিকেলে বিপুল সংখ্যক সমর্থক নিয়ে তিনি কুষ্টিয়া বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান নেন। এরপর নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ এবং জেলা বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে পুনর্গণনা করা হয়। এতে চারটি বাতিল ভোট বৈধ হিসেবে গণ্য হয় এবং তা কাজলের ভোটে যোগ করা হয়।
জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা মো. মিরাজুল ইসলাম রিন্টু বলেন, “পুনর্গণনায় দেখা গেল কাজলের ভোট বেড়েছে। শুরুতেই গরমিল ছিল। এতে কারচুপির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।”
এ ঘটনার পর থেকে কুষ্টিয়া বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে বিভেদ এবং অনৈক্যের সুর শোনা যাচ্ছে। কাজল মাজমাদারের সমর্থকরা আশঙ্কা করছেন, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ এই বিরোধ আগামী দিনে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ইমরান