
ছবি: সংগৃহীত
কোমল পানীয়ের জগতে সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় নাম কোকাকোলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ—এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল, যিনি একবারও এই পানীয়ের স্বাদ নেননি। যুগের পর যুগ ধরে বাজারে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করছে মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি। তাদের স্বাদ ও ফর্মুলা বরাবরই ছিল অপরিবর্তিত। তবে এবার বড় এক পরিবর্তনের পথে হাঁটছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশাল-এ লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোমল পানীয় তৈরিতে ভুট্টা সিরাপের বদলে আখের চিনি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই উদ্যোগে একমত হয়েছে কোকাকোলা কোম্পানিও। ট্রাম্প তার পোস্টে এই পরিবর্তনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলেও উল্লেখ করেন।
তবে জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে তাদের সিগনেচার কোমল পানির স্বাদে পরিবর্তন আনবে কি না, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো বিবৃতি দেয়নি। যদিও ট্রাম্পের পোস্টের বিষয়ে তারা অস্বীকৃতি-ও জানায়নি।
ফ্রুকটোজ সিরাপ বনাম আখের চিনি: স্বাস্থ্যগত দিক
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, খাদ্য তালিকায় সীমিত পরিমাণে চিনি রাখার পরামর্শ দিলেও ভুট্টা থেকে তৈরি উচ্চমাত্রার ফ্রুকটোজ সিরাপ ও আখের চিনির মধ্যে মোটাদাগে বড় কোনো পার্থক্য নেই। দুইটিই মূলত চিনি, এবং অতিরিক্ত গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
১৯৮০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোমল পানিতে মিষ্টির স্বাদ আনার জন্য ফ্রুকটোজ সিরাপ ব্যবহার শুরু হয়। এতে খরচ কম হওয়ায় এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় এবং কোম্পানিগুলো এটিকে বাণিজ্যিকভাবে গ্রহণ করে।
তবে মেক্সিকোসহ অন্যান্য অনেক দেশে এখনও আখের চিনি ব্যবহার করা হয় কোমল পানিতে।
ট্রাম্পের চাপ ও স্বাস্থ্য সচিবের সমালোচনা
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোকাকোলার ওপর এই চাপ প্রয়োগের পেছনে কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করলেও, তার স্বাস্থ্য সচিব সফট ড্রিংকে ব্যবহৃত ফ্রুকটোজ সিরাপ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তন মার্কিন বাজারে কোকাকোলার ভবিষ্যৎ কৌশল ও ব্র্যান্ড ইমেজে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে সত্যিই কি আখের চিনি যুক্ত কোকাকোলা আসছে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।
শেখ ফরিদ