ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

মুরাদনগরে জনদুর্ভোগ: খাল দখলে ডুবছে গ্রাম, স্কুল মাঠে হাঁটুপানি

মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুমিল্লা

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ১৮ জুলাই ২০২৫

মুরাদনগরে জনদুর্ভোগ: খাল দখলে ডুবছে গ্রাম, স্কুল মাঠে হাঁটুপানি

ছবি: জনকণ্ঠ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের রামধনীমুড়া ও নিমাইকান্দি গ্রামের অন্তত ৫৬টি পরিবার ও রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।

স্থানীয় খাল দখল, ময়লার স্তূপ এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই বসতঘর, স্কুল মাঠ ও চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। শিশুদের স্কুলে যাওয়া ও বৃদ্ধদের চলাচল হয়ে পড়েছে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন রামধনীমুড়া গ্রামের মোক্তল হোসেন ও বুচ্চু মিয়া। এদের দখলে থাকা জমিতে মাটি ফেলে পানি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খালে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। ফলে দুই গ্রামের পানি বের হতে না পেরে ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে।

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পর্যন্ত পানি, ক্লাসরুমে যাওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে।

স্থির পানিতে এডিস মশার প্রজনন বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু ঝুঁকিও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এলাকাবাসী জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তারা বলেন, “মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ পাকা রাস্তার দক্ষিণে জেলা পরিষদের একটি খাল ছিল। এটি দিয়ে উপজেলা চত্বর, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুই গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। এখন সেটি মৃত খালে পরিণত হয়েছে।”

তাদের দাবি, “জরুরি ভিত্তিতে খাল থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করে পানি চলাচল সচল করতে হবে। পাশাপাশি রামধনীমুড়া থেকে উপজেলা গেট পর্যন্ত অন্তত ৫০ ফুটের দুটি কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে এবং খালে ময়লা ফেলা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। মানুষের কষ্ট লাঘবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মুমু ২

×