
ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক ও অ্যাকটিভিস্ট আরিফ হোসাইন ১৮ জুলাই তারিখে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাসে চলমান ছাত্র আন্দোলন, ব্যক্তিগত শোক এবং রাজপথে তরুণদের আত্মত্যাগ নিয়ে তার অবস্থান তুলে ধরেছেন। পোস্টে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বীরত্বপূর্ণ অবস্থানই তাকে আবারো সক্রিয় করেছে।
আরিফ হুসাইন জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মায়ের মৃত্যুর পর তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন এবং অ্যাক্টিভিজম থেকেও ধীরে ধীরে সরে আসেন। সেই মানসিক ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে না পারলেও এবারের আন্দোলন তাকে আবারো রাজপথমুখী করেছে।
তিনি লেখেন, “Any BCS or Govt. job reform wasn’t something that could pull a man like me into any street protest… কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিরোইক স্ট্যান্সের পর ছোটভাইরা আমাকে টেনে নিয়ে গেল জুলাইয়ে।”
বিশেষ করে আন্দোলনে শহীদ হওয়া ফারহান ফাইয়াজের প্রসঙ্গে আরিফ বলেন, “ছেলেটার এই হাসিটা আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না… তার মত রুধির আখরে যারা রাজপথের পিচে ইনকিলাব লিখে গেছে, তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে গেলে আমাদের একটা সত্যিকারের স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতেই হবে।”
১৮ জুলাইকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এই দিনেই প্রমাণ হয়ে গেছে “হাসিনা আর থাকছে না।” তার ভাষায়, “আরবান মিডল ক্লাসের ছেলেদের খুন করে নেগোশিয়েশন করে পার পাওয়া হাসিনার পক্ষে সম্ভব ছিল না… এমন গর্তে হাসিনা এর আগে পা দেয়নি।”
পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, “আল্লাহর ওয়াদা পুরা করার সময় এসে পড়েছে, শুধু ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করতে হবে।”
আন্দোলনের এই ধাপে আরিফ হুসাইনের এমন সরব ফিরে আসা এবং ফারহান ফাইয়াজের মতো তরুণদের প্রতি তার এই আবেগময় শ্রদ্ধা—প্রমাণ করে চলমান ঘটনাগুলো কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং একটি প্রজন্মের অস্তিত্ব ও ভবিষ্যতের প্রশ্নে পরিণত হয়েছে।
ছামিয়া