ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

জিয়া পরিবার ইতিহাসে বারবার ফিরে এসেছে জাতির সংকটকালে: আমান উল্লাহ আমান

মো. সোহাগ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ঢাকা

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ১৮ জুলাই ২০২৫

জিয়া পরিবার ইতিহাসে বারবার ফিরে এসেছে জাতির সংকটকালে: আমান উল্লাহ আমান

ছবি: জনকণ্ঠ

"বাংলাদেশ যখনই রাজনৈতিক বা জাতীয় সংকটে পড়েছে, তখনই জিয়া পরিবারের সদস্যরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রাজপথে নেমেছেন অকুতোভয় সৈনিকের মতো"—বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান এমন মন্তব্য করেছেন।


বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই আন্দোলনে’ নিহত ছাত্রদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আমান উল্লাহ আমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “যাদের বয়স ৪২ বছর হয়নি, তারা জানেন না, যাদের বয়স ৫৪ হয়নি, তারাও জানেন না—এই বাংলাদেশে জিয়া পরিবারের অবদান কী ছিল। ইতিহাস ভুলে গেলে জাতি ভুল পথে চলে। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত বারবার এই পরিবার জাতির কান্ডারির ভূমিকা পালন করেছে।”

আমান উল্লাহ আমান বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে যখন হানাদার বাহিনী ঢাকায় ও সারাদেশে গণহত্যা চালায়, তখন পরদিনই চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি সেই প্রথম স্বাধীনতার বার্তা পৌঁছে দেন জনগণের কানে। তার ঘোষণাই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে দেশবাসীকে।”
তিনি আরও বলেন, “একসময় দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সব দল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কেবল একটি দল ছাড়া। পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, মাত্র চারটি পত্রিকা অনুমোদিত ছিল। ঠিক তখনই আবির্ভাব ঘটে জিয়াউর রহমানের। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন, মুক্ত চিন্তার পথ খোলেন।”

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আমান বলেন, “১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ যখন সামরিক শাসক এরশাদ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন, তখন এই জিয়া পরিবারের আরেক সদস্য, শহীদ রাষ্ট্রপতির পত্নী বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে নামেন। অনেকেই জানেন না, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী—১৯৮৩ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রদলের সম্মেলনে তিনি সরাসরি উপস্থিত হয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।”
তিনি বলেন, “আজ যারা মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, ও দেশপ্রেম নিয়ে কথা বলেন, তারা যেন ভুলে না যান—বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে জিয়া পরিবার ছিল জাতির পাশে। আজও তারা আছে, এবং থাকবেন।”

সভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, ছাত্রদল ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় বক্তারা দাবি করেন, “জুলাই আন্দোলনে নিহত ছাত্রদের রক্ত বৃথা যাবে না।”

সাব্বির

আরো পড়ুন  

×