
ছবি: জনকণ্ঠ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছে, তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের তালতলী বাজারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে রহমাতুল্লাহ আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচারের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে স্বৈরাচারকে দীর্ঘস্থায়ী করার অপ-তৎপরতায় যারা লিপ্ত ছিল, সেইসব কতিপয় রাজনৈতিক নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিগত ওয়ান ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক সরকারের আমলে তারেক রহমান ষড়যন্ত্র ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারাত্মকভাবে মৃত্যুর ঝুঁকিতে উপনীত হয়েছিলেন। তিনি গত ১৭ বছর দেশের বাহিরে থেকেও এদেশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের লাগাতার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে নির্বাচনে যারা অংশ নিয়ে অবাধে সভা ও সমাবেশ করেছে তারাও স্বৈরাচারের দোসর। নিজেদেরকে তারা এখন অতিবিপ্লবী প্রমাণ করার জন্য একের পর এক মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। তাদের এই মিথ্যাচারের ইতিহাস সম্পর্কে জাতি ভালোভাবেই অবহিত।
রহমাতুল্লাহ বলেন, ভোটের অধিকার পূনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এসব রাজনৈতিক নেতারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। এ কারণেই তারা জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। কিন্তু এদেশের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম গত ১৫ বছর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত, সেকারণে জাতীয় নির্বাচন বাতিলের জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের এসব ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।
শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হেমায়েত হোসেনের মুরাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুল কবির ফরহাদ, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন টিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ, আসিফ আল মামুন, সদর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন প্রমুখ।
সাব্বির