
ছবি: সংগৃহীত
আজকের দ্রুত জীবনযাত্রা ও অপরিকল্পিত জীবনধারা পুরুষ বন্ধ্যত্বের সংখ্যাকে উদ্বেগজনকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষ বন্ধ্যত্বের পেছনে যে ভয়ঙ্কর কারণগুলো রয়েছে, সেগুলোকে অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
সম্প্রতি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, ধূমপান, মাদকাসক্তি, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশ দূষণের কারণে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় স্ট্রেস নেওয়া, অতিরিক্ত গরমে বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার (যেমন ল্যাপটপের ল্যাপের ওপর দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা) বন্ধ্যত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
অন্যদিকে, শারীরিক অসুস্থতা যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, যকৃত ও কিডনির সমস্যা, এবং যৌন সংক্রামক রোগগুলোও শুক্রাণুর গুণগত মান কমিয়ে দেয়। অনেক সময় পুরুষরা এই লক্ষণগুলোকে ছোটখাটো সমস্যা মনে করে উপেক্ষা করেন, যা অবশেষে বন্ধ্যত্বের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুরুষ বন্ধ্যত্ব প্রতিরোধে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, মানসিক চাপ কমানো এবং সময়মত চিকিৎসার ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে যাদের পরিবারের মধ্যে বন্ধ্যত্বের ইতিহাস রয়েছে, তাদের জন্য আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
পুরুষ বন্ধ্যত্বের ভয়াবহতা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবেও গভীর প্রভাব ফেলে। তাই সমাজের সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন এবং এই সমস্যার প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, আধুনিক জীবনযাত্রার চাপ মোকাবিলায় নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া এখন সময়ের দাবি। দ্রুত চিকিৎসা ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে পুরুষ বন্ধ্যত্বের ভয়াবহতা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
রিফাত