ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

নতুন অফার নেই? তবুও চাকরি ছাড়তে পারেন এই ৫ কারণে

প্রকাশিত: ২১:০১, ১৭ জুলাই ২০২৫

নতুন অফার নেই? তবুও চাকরি ছাড়তে পারেন এই ৫ কারণে

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ের চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক চাপ এবং উচ্চ প্রতিযোগিতার মধ্যে চাকরি ছেড়ে দেওয়া অনেকের কাছেই একপ্রকার "ঝুঁকি" মনে হতে পারে। বিশেষ করে হাতে নতুন কোনো অফার না থাকলে, এ সিদ্ধান্ত আরও জটিল হয়ে দাঁড়ায়। তবে এমন কিছু পরিস্থিতি রয়েছে যেখানে নতুন চাকরি না পেয়েও বর্তমান চাকরিটি ছেড়ে দেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। বিশ্লেষক ও এইচআর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, নিচের ৫টি কারণ এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার যথার্থ ভিত্তি তৈরি করতে পারে:

১. বিষাক্ত কর্মপরিবেশ (Toxic Work Environment)

নিত্যদিন অপমান, রাজনীতি, মানসিক চাপ কিংবা সহকর্মীদের অবহেলার মধ্যে থেকে কেউ দীর্ঘদিন সুস্থ ও প্রোডাক্টিভ থাকতে পারে না। যদি আপনার অফিসের পরিবেশ নিয়মিতভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয়, তবে চাকরি ছাড়ার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে—even if a new job isn’t lined up yet.

২. মূল্যায়নের অভাব ও ক্যারিয়ার অগ্রগতির বন্ধ দরজা

আপনার কাজের স্বীকৃতি মিলছে না, উন্নতি নেই, কিংবা পদোন্নতির কোনো সুযোগ চোখে পড়ছে না—এই পরিস্থিতিতে থেকে গেলে আপনি শুধু সময়ই হারাবেন। এমন দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে নতুন কিছু খোঁজার জন্য চাকরি ছাড়া যেতে পারে।

৩. কাজ আর মূল্যবোধে দ্বন্দ্ব

আপনার প্রতিষ্ঠান যদি এমন কিছু কাজ করে যা আপনার ব্যক্তিগত নীতি বা মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে সেখানে থাকা মানসিকভাবে কষ্টদায়ক হয়ে উঠতে পারে। জীবনের অর্থপূর্ণ পথ বেছে নিতে চাকরি ত্যাগ কখনোই ভুল সিদ্ধান্ত নয়।

৪. বার্নআউট বা শারীরিক-মানসিক ক্লান্তি

দিনের পর দিন অতিরিক্ত কাজের চাপ, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব এবং দীর্ঘ সময় ধরে ছুটি না নেওয়ার ফলে বার্নআউটের ঝুঁকি বাড়ে। কোনো চাকরি যদি আপনার সুস্থতা কেড়ে নেয়, তবে তা ত্যাগ করা হতে পারে আত্মরক্ষার প্রথম পদক্ষেপ।

৫. স্বাধীনভাবে কিছু গড়তে চাওয়া বা ক্যারিয়ার বদল

অনেকেই চাকরির বাইরে কিছু গড়তে চান—ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তা হওয়া কিংবা একেবারে অন্য কোনো পেশায় যাত্রা শুরু করা। নতুন চাকরি ছাড়া এই রকম রুট নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, অনেক সময় নিজের প্যাশন বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য পুরোনো চাকরি ছেড়ে দেওয়া যৌক্তিক।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:

মানসিক, শারীরিক ও পেশাগত সুস্থতা—এই তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। হাতে নতুন চাকরি না থাকলেও, পর্যাপ্ত সঞ্চয় ও প্ল্যান থাকলে সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।

রিফাত

×