
ওরে আমার মনময়ূরী
তোর বিরহে ঘর ছেড়েছি
শ্রাবণ শেষে পথ ভুলেছি,
পেলাম কিছু? ভেবেই মরি।
নিষেধ ভুলে সাঁঝ বেলাতে
ভাঙছি মেলা নিজের হাতে
এখন আমি কী যে করি!
ওরে আমার মনময়ূরী
শ্যামের হাতে বিষের বাঁশি,
সর্বনাশার মরণ হাসি
ঠোঁটের ভাঁজে জাপটে ধরি
দুঃখ যখন ফেরি করি।
এটাই নিয়ম ও ময়ূরী!
ব্যর্থ মানুষ
খালেদ রাহী
দৌড়াচ্ছি পুলসেরাতের মধ্যখানে...
দৌড়াচ্ছি হাশরের ময়দানে...
দৌড়াচ্ছি নরক থেকে নরকে...
দৌড়াচ্ছি আর আমাকে খুঁজছি
আমাকে খুঁজে পেলে
আপনাকে পাবো
প্রভু, আমি আমাকে খুঁজে পাচ্ছি না
আমি ইহকালে পরকালে ব্যর্থ মানুষ
ব্যর্থ মানুষের লোভ থাকতে নেই
আমাকে নরকে পাঠিয়ে দেন!
কংক্রিট গিলে ফেলে
শেখ সালাহ্উদ্দীন
স্কাইস্ক্রাপারের সুরম্য খাঁচায়
শুনি গোপন বিষাদসুর
স্ট্রাকচারড বর্ষণ-
আলো কাচ বহু মূল্য ধাতব প্রাচুর্যে
অন্তর্হিত সবটা বন্যতা
কংক্রিটগিলে ফেলে জল
স্মৃতিতে প্রবল বৃষ্টিধ্বনি
গ্রামীণ শৈশব
দিনটার পুষ্পিত আনন্দ
তোফায়েল তফাজ্জল
দিনটার পুষ্পিত আনন্দ
নিক্তি মাপে না হলেও
ঊনিশ-বিশের সূত্র ধরে হোক ভাগাভাগি।
লক্ষ্য থাকবে প্রতিবেশী বা অন্যের হিসাব কষায়
গা ঘেঁষতে না পারে যাতে
প্রসঙ্গের তুচ্ছ-বালিকণা;
উড়ে এসে হুল না বিঁধায় হিংস্রতায়।
কেউ গাল ফুলিয়ে না থাকে আঙিনায়,
চোখেও না পরে ঠুলি।
অর্থাৎ সতর্ক থাকবে
খুশির ভেতরে যাতে না ঢোকে গোচনা।
একদিন বর্ষায়
মাহমুদুজ্জামান জামী
বর্ষার এই ভীষণ রোদে
শহরের পথে
হাঁটছি তো অনেক্ষণ,
গায়ে গায়ে ঘেঁষে
যাচ্ছে মানুষ;
সবারই তাড়া
যেন খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজে
হয়ে যাচ্ছে দেরি
এবং হঠাৎ
ভিড়ের মধ্যে
শুরু হলো
দৌড়াদৌড়ি,
‘চোর চোর’ চিৎকারে
প্রকম্পিত বাতাস...
এবং হঠাৎ কর্দমাক্ত
মাটিতে ধপাস!
চোর তো চলে গেল নিরাপদে-
মাটিতে যে পড়ে আছে তাকে
বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।
সাদা মেঘ
রাশেদ খান
আষাঢ়ের ঝপাঝপ সাদা মেঘ
তোমার দুফালি হাসি,
কালো কেশে সাদা মেঘের খেলা
সাদা মেঘে ভিজে চাষি!
কৃষ্ণচূড়ার ডালে বসে আছে একাকী
ভিজা কাক পাখি,
মনের ভিতর আমার চিমটি কাটে
যদি দাও ফাঁকি?
পুকুর ঘাটে আছড়ে পড়ে কিশোরী
কলসি কাখে নিয়ে,
লজ্জা পেয়ে কিশোরীর মুখ
আঁচল দিয়ে ঢাকে।
প্যানেল/মো.