
ছবি: সংগৃহীত
আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানের আলোচনায় কুমড়ো বীজ এখন সুপারফুডের মর্যাদা পাচ্ছে। ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই ছোট ছোট বীজ শুধু পুষ্টিদায়কই নয়, বরং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানেও কার্যকর। তবে প্রশ্ন হলো, কখন খেলে এই বীজের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় বুঝে খেলে কুমড়ো বীজ হতে পারে এক শক্তিশালী প্রাকৃতিক পথ্য।
খালি পেটে সকালে:
সকালের শুরুতে কয়েকটি কুমড়ো বীজ চিবিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি হালকা জল তেষ্টা বাড়ায়, যার ফলে সকালে বেশি পানি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।
শরীরচর্চার পর:
কুমড়ো বীজে রয়েছে ৯ প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড, পাশাপাশি লিউসিন, আইসোলিউসিন ও ভ্যালাইন যা প্রোটিন সংশ্লেষে সহায়ক। তাই ব্যায়ামের পরে কুমড়ো বীজ খেলে শরীর দ্রুত শক্তি ফিরে পায় এবং পেশিকে মেরামত করে।
ঘুমের আগে:
ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপটোফ্যানের উপস্থিতির কারণে কুমড়ো বীজ ঘুমের উন্নতিতে সহায়ক। ট্রিপটোফ্যান থেকে শরীরে সেরোটোনিন ও পরে মেলাটোনিন তৈরি হয়, যা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে এই বীজ খাওয়া ভালো।
কতটা খাবেন?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি দিনে ২৮–৩০ গ্রাম কুমড়ো বীজ খেতে পারেন। তবে যাদের কিডনি বা লিভারের সমস্যা রয়েছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এটি খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন।
সতর্কতা: অতিরিক্ত সেবন না করে সীমিত পরিমাণে খাওয়া এবং সঠিক সময়ে গ্রহণ করলেই কুমড়ো বীজ দেবে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।
আঁখি