
ছবিঃ সংগৃহীত
কিডনিকে বলা হয় শরীরের ‘নীরব’ অঙ্গ। কারণ, এই অঙ্গের সমস্যা সহজে বোঝা যায় না—বিশেষ করে ক্যানসার হলে তা প্রথম দিকে প্রায় কোনো লক্ষণই দেখায় না। যখন বুঝতে পারা যায়, তখন অনেক সময়ই দেরি হয়ে যায়। এ কারণেই চিকিৎসকেরা কিডনি ক্যানসারকে বলছেন "সাইলেন্ট কিলার"।
চিকিৎসকদের মতে, কীভাবে চিনবেন কিডনির ক্যানসার?
এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক জানান, কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখলেই দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত—
🔸 প্রস্রাবে রক্ত দেখা
🔸 এক পাশের কোমরে বা পিঠে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা
🔸 অকারণে ওজন হ্রাস
🔸 অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা
🔸 শরীরে ফোলা বা চোখের নিচে ফোলাভাব
এই উপসর্গগুলো খুব সাধারণ অনেক রোগের মতো মনে হলেও, কিডনি ক্যানসারের ক্ষেত্রে এদের গুরুত্ব অনেক বেশি।
কেন এত দেরি করে বোঝা যায়?
চিকিৎসকদের মতে, কিডনির অবস্থান শরীরের এমন এক জায়গায় যেখানে টিউমার বা অস্বাভাবিকতা বড় হয়ে গেলেও সহজে তা বোঝা যায় না। তাছাড়া ক্যানসার শুরুর অনেক সময় পর্যন্ত রোগী কোনো অসুস্থতা অনুভব করেন না।
কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই কিডনি ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব—
✅ ধূমপান এড়িয়ে চলা
✅ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
✅ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা
✅ নিয়মিত রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করা
✅ পারিবারিক ইতিহাস থাকলে বছরে অন্তত একবার আলট্রাসনোগ্রাফি
কাদের বেশি ঝুঁকি?
-
যাদের পরিবারে কিডনির রোগ বা ক্যানসারের ইতিহাস আছে
-
ধূমপায়ীরা
-
দীর্ঘদিন ওষুধ খাচ্ছেন এমন রোগীরা
-
যাদের ওজন অতিরিক্ত
-
৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা
শেষ কথা:
কিডনি ক্যানসার যেমন নীরবে শরীরে বাসা বাঁধে, তেমনি তা ধরা পড়লেও অনেক সময় আগাম প্রস্তুতির সুযোগ দেয় না। তাই শরীরকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন এবং সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলেই অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
স্বাস্থ্যই সম্পদ—নীরব অঙ্গের নীরব বার্তা বুঝতে শিখুন।
ইমরান