
ছবি: সংগৃহীত
বাংলা সাহিত্যের মহান কৃতী কবি ও সাহিত্যিক আল মাহমুদ আজ (১১ জুলাই) তাঁর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছেন। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।
আল মাহমুদ বাংলা আধুনিক কবিতার অগ্রদূত; স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ভাষা আন্দোলন নিয়ে তাঁর প্রতিবাদী ও বিপ্লবী কাব্য যুগান্তকারী ছিল। তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতাগ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে ‘লোক লোকান্তর’ (১৯৬৩), ‘কালের কলস’ (১৯৬৬), ‘সোনালী কাবিন’ (১৯৭৩), ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’ (১৯৭৬) ।
এই দিন উপলক্ষে বিকেলে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবি আল মাহমুদের কবিতা আবৃত্তি, স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদে ‘আমাদের আল মাহমুদ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী ১২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে আরও একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
আল মাহমুদের জীবনচিত্র
- নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ
- জন্ম ১১ জুলাই ১৯৩৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- মৃত্যু ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ঢাকা
- প্রধান রচনাসমূহ ‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’, ‘সোনালী কাবিন’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’
- পুরস্কার বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৮), একুশে পদক (১৯৮৬), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৬) ও অন্যান্য
- পেশা সাংবাদিকতা ও সাহিত্য: সাংবাদিকতা শুরু দৈনিক মিল্লাত, মুক্তিযুদ্ধের সময় The Daily Ganakantha‑তে সহ-সম্পাদক, পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক (১৯৯৩ অবধি)
কবিতার বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব
ভিন্ন ভাষা ও আঞ্চলিক উপভাষার সৃজনশীল প্রয়োগ, গ্রামীণ বাংলার জীবন ও নদীনির্ভর মানুষের দ্বন্দ্বময় বাস্তবতার বর্ণনা তাঁকে আধুনিক কবিতার কিংবদন্তি করেছে।
১৯৫০-এর দশকে ভাষা আন্দোলন, ন্যাশনালিজম ও পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী লেখা কবিতার সংগ্রামীন মননের পরিচায়ক।
আজকের অনুষ্ঠানে কবির সাহিত্য ও জীবনদর্শন স্মরণ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁর ভাষা ও চিন্তার ধারা তুলে ধরার প্রচেষ্টা থাকবে। কবির কবিতা ও কাব্যগ্রন্থের আবেদন আজও তরুণদের মন ও গদ্য-স্রোতে প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে।
শেখ ফরিদ