ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

ইসরায়েলি হামলার পর জাতির উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট আল-শারার জ্বালাময়ী ভাষণ!

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ১৭ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েলি হামলার পর জাতির উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট আল-শারার জ্বালাময়ী ভাষণ!

ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার কৌশলগত শহর সুইদা প্রদেশে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। জাতিগত সহিংসতা মোকাবেলায় সিরীয় সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্র ও ট্যাংকসহ মোতায়েন শুরু করলেও ইসরাইলি হুমকিতে তারা বর্তমানে কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। কিছু এলাকায় এখনো সামরিক চেকপোস্টে টহল চলছে।

 

 

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপ। এতে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিহত হন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষও। ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হামলার পর ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করছে সিরীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, সুইদা প্রদেশে সম্প্রদায়ভিত্তিক সহিংসতায় সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে ইসরাইল এই হামলা চালিয়েছে।

 

ইসরাইলের দাবি, গোলান মালভূমিতে থাকা তাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সিরিয়ায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা বলছে, সিরিয়ার দ্রুজ সংখ্যালঘুদের রক্ষা* ও উত্তরের সীমান্তে সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধে এই পদক্ষেপ জরুরি।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দ্রুস ও বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুইদায় সেনা পাঠায় সিরীয় সরকার।

 

ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে* তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আলসারা। তিনি বলেন,
“দ্রুজ জনগণের সুরক্ষা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু ইসরাইল আমাদের ভূখণ্ডে বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংস ছড়াতে চায়।”

তিনি বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ থেকে দ্রুসদের রক্ষার অঙ্গীকার করেন এবং যুদ্ধের ভয় না পেয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন।

গত চার দিনে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হলেও ইসরাইল-সিরিয়া উত্তেজনা প্রশমনে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র।

এই সংকট নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক অঙ্গনে সিরিয়া-ইসরাইল উত্তেজনা ঘিরে গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে।
 

ছামিয়া

×