ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

২০২৫ সালে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি এমন ৮টি কলেজ ডিগ্রি

প্রকাশিত: ১৩:০০, ১৭ জুলাই ২০২৫

২০২৫ সালে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি এমন ৮টি কলেজ ডিগ্রি

ছবি: সংগৃহীত।

২০২৫ সালে উচ্চশিক্ষা শেষে দ্রুত কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা চাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু ডিগ্রি বিশেষভাবে নজরকাড়া হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল খাতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই সেক্টরগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত ডিগ্রিধারীরা পাচ্ছেন ভালো বেতনে স্থায়ী চাকরির সুযোগ। নিচে এমনই ৮টি কলেজ ডিগ্রির কথা তুলে ধরা হলো, যেগুলোর চাকরি পাওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি এবং ভবিষ্যতেও সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

১. নার্সিং (ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং - BSN):
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনও বেড়েছে, আর কোভিড-১৯ মহামারি এ খাতে নার্সদের গুরুত্ব নতুন করে সামনে এনেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশে নার্স সংকট বিদ্যমান।
চাকরির ক্ষেত্র: হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্কুল, আউটপেশেন্ট কেয়ার, হোম হেলথ কেয়ার, প্রাইভেট প্র্যাকটিস।

২. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং / কম্পিউটার সায়েন্স:
প্রযুক্তি খাত দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং ও ডেটা সায়েন্সে দক্ষ পেশাদারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
চাকরির ক্ষেত্র: প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, কনসালটেন্সি, ফিনান্স, সরকারি দপ্তর, হেলথ টেক।

৩. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং:
নির্মাণ, উৎপাদন, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো উন্নয়নে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ও অটোমেশন প্রযুক্তির উদ্ভাবনেও তাদের ভূমিকা বাড়ছে।
চাকরির ক্ষেত্র: নির্মাণ, অ্যারোস্পেস, অটোমোটিভ, রিনিউএবল এনার্জি, রোবোটিকস।

৪. বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন:
এটি একটি বহুমুখী ডিগ্রি, যা নেতৃত্ব, অপারেশন ও কৌশলগত পরিকল্পনায় দক্ষতা গড়ে তোলে। ছোট-বড় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানেই দক্ষ প্রশাসকের চাহিদা বাড়ছে।
চাকরির ক্ষেত্র: কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, কনসালটিং, সরকার, এনজিও।

৫. শিক্ষা (শিক্ষকতা সংক্রান্ত ডিগ্রি):
বিভিন্ন বিষয়ের জন্য শিক্ষকের ঘাটতি বিশ্বব্যাপী রয়েছে। শিক্ষকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা, যেখানে চাকরির নিরাপত্তা ও উন্নতির সুযোগ প্রচুর।
চাকরির ক্ষেত্র: প্রাইমারি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিশেষ শিক্ষা, প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা, প্রাইভেট টিউশন।

৬. মনোবিজ্ঞান (Psychology):
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনোবিজ্ঞানীদের চাহিদাও বেড়েছে। এটি একটি বহুবিধ ক্যারিয়ার পথের সুযোগ এনে দেয়।
চাকরির ক্ষেত্র: মানসিক স্বাস্থ্য ক্লিনিক, হাসপাতাল, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট এইচআর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট প্র্যাকটিস।

৭. ক্রিমিনাল জাস্টিস (অপরাধবিজ্ঞান):
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খাতে সবসময় চাহিদা থাকে। এটি বিচারব্যবস্থার নানা পর্যায়ে কাজের সুযোগ এনে দেয়।
চাকরির ক্ষেত্র: পুলিশ বিভাগ, আদালত, সংশোধনাগার, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা, আইন সহায়তা।

৮. মার্কেটিং (বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডেটা-ড্রিভেন মার্কেটিং):
ডিজিটাল মিডিয়া, ই-কমার্স ও সোশ্যাল মিডিয়ার বিকাশের ফলে দক্ষ মার্কেটারদের চাহিদা বেড়েছে। সৃজনশীলতা ও বিশ্লেষণী দক্ষতার সংমিশ্রণ এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চাকরির ক্ষেত্র: ডিজিটাল এজেন্সি, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি কোম্পানি, মিডিয়া হাউজ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তি ও জনকল্যাণমুখী পেশাগুলোর প্রতি ঝুঁকে পড়ছে ভবিষ্যতের চাকরি বাজার। তাই যারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছেন, তারা যদি এই ক্ষেত্রগুলো বিবেচনায় নেন, তাহলে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের ঝুঁকি কমবে।

মিরাজ খান

×