
ছবি: সংগৃহীত
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ভারত এবার পড়েছে নজিরবিহীন হুমকির মুখে। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখলে ভারত, চীন ও ব্রাজিলের ওপর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর পক্ষ থেকে ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা’ ও ‘শতভাগ শুল্ক’ আরোপের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, “রাশিয়ার সঙ্গে যদি এই তিন দেশ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাণিজ্য চালিয়ে যায়, বিশেষত তেল ও গ্যাস কেনে, তাহলে তাদেরও সেই খেসারত দিতে হবে। পুতিন যদি শান্তি আলোচনায় গুরুত্ব না দেন, তাহলে আপনাদের উপরও শতভাগ শুল্ক আরোপ হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের ক্ষেত্রে এমন হুমকি নতুন নয়, কিন্তু ভারতকে এই ধরনের হুমকি দেওয়াকে একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, ভারত বহুদিন ধরেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার এবং কৌশলগত বৈশ্বিক সহযোগী (Strategic Global Partner) হিসেবে পরিচিত।
এর একদিন আগেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, “রাশিয়া ৫০ দিনের মধ্যে যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তুত না হয়, তবে তাদের উপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে এবং সেইসঙ্গে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে রাশিয়ার বাণিজ্যিক বন্ধু দেশগুলোকেও।”
মার্ক রুটে বলেন, ভারত, চীন ও ব্রাজিল যেন এখনই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপ দেয় শান্তি আলোচনায় বসার জন্য। অন্যথায়, ন্যাটো দেশগুলোর পরোক্ষ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে এই দেশগুলোকেও।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ন্যাটো সরাসরি সংঘাতে না জড়ালেও ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করে আসছে। পশ্চিমাদের এই সহায়তা দিয়েও রুশ বাহিনীকে কাঙ্ক্ষিতভাবে প্রতিহত করতে পারেনি ইউক্রেন। এ অবস্থায় যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক চাপের পাশাপাশি অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির কৌশল নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
মার্ক রুটের এই বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একদিন আগের হুঁশিয়ারিরই ধারাবাহিকতা বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার ট্রাম্প ও রুটের মধ্যে বৈঠকেও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র জানায়।
শেখ ফরিদ