ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

৬টি ’সোনালী নীতি’ সত্যিই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৫৮, ১৭ জুলাই ২০২৫

৬টি ’সোনালী নীতি’ সত্যিই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

জীবনের 'সোনালী নীতি'সমূহ: পৃথিবীর প্রতিটি জীবের একটি প্রশ্নে আগ্রহ চিরন্তন: “ভালো জীবন কীভাবে বেছে নেব?” যদিও এর জন্য কোনো সার্বজনীন নিয়মবহির্ভূত বই নেই। কারণ সবার জীবনপটে ভিন্ন বাস্তবতা, পরিস্থিতি ও মানুষ থাকে। তবুও কিছু চিরন্তন নীতি আছে যেগুলো জীবনের দিশারি হিসেবে কাজ করে।

প্রতিটি সাক্ষাৎকে গ্রহণ করুন: যেমনটি বলা হয়, “আপনি যাকে দেখছেন, সে এমন কিছু জানে যা আপনি জানেন না।” প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন পটভূমির মানুষের সঙ্গে দেখা করি। প্রতিটি মিথস্ক্রিয়া নতুন কিছু শেখার সুযোগ, যা হয়তো নতুন একটি বইয়ের সুপারিশ, নতুন কোনো জাদুঘর, কিংবা একটি মজার কৌতুক। যা আমাদের বিস্মিত করে তোলে। জিজ্ঞাসু ও উন্মুক্ত মনের অধিকারী হওয়া আপনাকে বিনয়ী রাখে এবং আপনাকে প্রতিনিয়ত শিখতে সহায়তা করে।

পরিবেশ বেছে নিতে সচেতন হোন: জিম রনের একটি বিখ্যাত উক্তি হলো, “আপনি সেই পাঁচজন মানুষের গড়, যাদের সঙ্গে আপনি সবচেয়ে বেশি সময় কাটান।” আজকের যুগে প্রতিদিন ১০০ জনের সঙ্গে দেখা হলেও, এই কথার যথার্থতা এখনো অটুট। আপনি যাদের সঙ্গে সময় কাটান, তাদের ভাবনা, অভ্যাস, ভাষা এবং শক্তি আপনার মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। একজন ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে থাকলে, আপনি দীর্ঘসময় নেতিবাচক থাকতে পারবেন না। তাদের শক্তি আপনাকেও টেনে তুলবে। তাই আপনার চারপাশে কাদের রাখছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ক্ষমা চাইলে তা আন্তরিকভাবে চান: আপনি যদি শুধু ‘দুঃখিত’ বলার পরও নিজের কাজের ব্যাখ্যা দিতে থাকেন, তাহলে আপনার ক্ষমা অর্থহীন হয়ে পড়ে। বরং এটি আপনাকে একদিকে ক্ষতিকর এবং অন্যদিকে ভণ্ড মনে করায়। একটি আন্তরিক ক্ষমা সেই ক্ষতির স্বীকৃতি দেয় যা আপনি করেছেন। অপরপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করুন কেন তারা আপনার ক্ষমাকে বিশ্বাস করবে। আপনার কাজে সতর্ক হোন।

বিশ্বাস দিন, কিন্তু সময়ের সঙ্গে: মানুষের ভেতরের ভালোটা দেখা যেমন জরুরি, তেমনি সবাইকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করাও বিপজ্জনক। যারা সত্যিই সদিচ্ছা নিয়ে আপনার জীবনে আসে, তারা নিজেরাই সময়ের সঙ্গে আপনার বিশ্বাস অর্জন করবে। আপনিও কাউকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করবেন না। আপনার কাজই আপনার পক্ষে কথা বলুক। দ্রুত বিশ্বাস করা দুর্বলতার লক্ষণ, আর তা ভেঙে গেলে পরবর্তীতে কাউকেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করুন: ভুল সময়ে ভুল ঘটনা ঘটার অভিযোগ সর্বজনীন। হয়তো আপনি ভাবছেন, “সব সময় আমার সাথেই এমন কেন হয়?” কিন্তু আপনি একা নন। পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। কিন্তু আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেন, সেটাই আপনার শক্তি। চাপের মুখে শান্তি হারালে, ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়।

অপরাধবোধ ছাড়া বিচ্ছিন্নতা শিখুন: বিচ্ছিন্নতা মানে কাউকে ছেড়ে দেওয়া নয়। এটি বুঝে নেওয়া কখন সম্পর্ক সীমা অতিক্রম করছে এবং উভয়ের ক্ষতি করছে। কাউকে এত শক্ত করে ধরলে যে সে আঘাত পায়। তা ভালোবাসা নয়, তা বিষাক্ততা।বিচ্ছিন্নতা মানে নিজের সুস্থতা বজায় রাখতে যাদের থেকে আলাদা হওয়া প্রয়োজন, তাদের ছেড়ে দেওয়া। অপরাধবোধ বা ক্ষোভ ছাড়াই।

শহীদ

×