
রাজধানীর বুকের ভেতরেই যেন আরেক গ্রাম। সড়ক আছে, নগর আছে, কিন্তু নেই সেতু। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নগরে আসেন নাসিরাবাদের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাসিরাবাদ ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম পড়েছে নগরীর সীমান্ত ঘেঁষে। তাদের শহরে ঢোকার একমাত্র পথ খিলগাঁও থানাধীন ত্রিমোহনী এলাকায় নড়াই নদীর ওপর একটি বাঁশের সাঁকো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। নদীর ওপর কোনো পাকা সেতু না থাকায় বর্ষায় বিপদ আরো বেড়ে যায়। বয়স্ক ও শিশুরা প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হন। তবুও সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, “প্রতিদিন মনে হয় সাঁকো ভেঙে পড়ে যাবো। বহু মানুষ পড়ে গেছে, কতজন আহত হয়েছে। কিন্তু সেতু হবে কি না জানি না।”শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, “শহরে স্কুলে যেতে ভয় লাগে। বৃষ্টি হলে সাঁকো পিচ্ছিল হয়ে যায়। আমরা আর এই কষ্ট চাই না।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বিষয়টি সিটি করপোরেশনের দপ্তরে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত একটি পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছেন।
নাসিরাবাদ ইউনিয়নের মানুষদের একটাই আকুতি দ্রুত পাকা সেতু তৈরি করে তাদের দুর্ভোগের অবসান হোক।
আফরোজা