ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

তেঁতুলিয়ায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এডিশনাল ডিআইজির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ২২:১০, ১৮ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২২:১২, ১৮ জুলাই ২০২৫

তেঁতুলিয়ায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এডিশনাল ডিআইজির মতবিনিময় সভা

ছবি: জনকণ্ঠ

সীমান্তের ধারে ছোট্ট একটি উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। চায়ের বাগান আর সমতলে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের জীবনে নানা চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যখন পুলিশ-জনগণের মাঝে গড়ে ওঠে আস্থার সেতুবন্ধন, তখন জন্ম নেয় নতুন সম্ভাবনা।

ঠিক এমনই এক দৃশ্যপট তৈরি হয় শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানা চত্বরে, যেখানে রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন স্থানীয় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এক খোলামেলা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

উদ্দেশ্য একটাই,সীমান্তবর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন,"সীমান্তবর্তী তেঁতুলিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া টেকসই শান্তি সম্ভব নয়। আমরা শুধু আদেশ দিয়ে নয়, শুনে, বুঝে, একসঙ্গে কাজ করতে চাই।"

তিনি আরও জানান, পুলিশ জনগণের সমস্যা শুনছে, বুঝছে এবং তা সমাধানের পথ খুঁজছে। এ সময় তিনি উপস্থিত জনসাধারণকে আহ্বান জানান, সক্রিয়ভাবে কমিউনিটি পুলিশিংয়ে অংশগ্রহণ করতে।

উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, ব্যবসায়ী, এনজিওকর্মী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও নানা পেশার মানুষ। সবাই নিজ নিজ এলাকার সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেন এবং পুলিশের সহযোগিতায় তা সমাধানের আশা প্রকাশ করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. নজির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমি ইমতিয়াজ এবং তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুসা মিয়াসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় বারবার উঠে আসে একটি বিষয় ‘কমিউনিটি পুলিশিং’। পুলিশ ও জনগণের যৌথ অংশগ্রহণে একটি নিরাপদ, মাদকমুক্ত, সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের চিত্র যেন ফুটে ওঠে এই মতবিনিময়৷ 

তেঁতুলিয়ার মতো প্রান্তিক উপজেলায় এই ধরনের উদ্যোগ কেবল আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই নয়, সামাজিক সচেতনতা তৈরিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

Mily

×