ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

হৃদরোগ মানেই মৃত্যু নয়: দ্রুত চিকিৎসা নিলে বাঁচানো যায় হার্ট অ্যাটাক রোগীকেও

প্রকাশিত: ০১:০৯, ১৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০১:১০, ১৯ জুলাই ২০২৫

হৃদরোগ মানেই মৃত্যু নয়: দ্রুত চিকিৎসা নিলে বাঁচানো যায় হার্ট অ্যাটাক রোগীকেও

ছবি: সংগৃহীত।

বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পরিন সাংগোই জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাক (হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া) মানেই সবসময় মৃত্যু নয়। আধুনিক চিকিৎসা ও সময়মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে একেবারে সংকটাপন্ন রোগীকেও বাঁচানো সম্ভব।

তিনি জানান, অনেক সময় মাত্র ১% বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বাস্তবে রূপ পায় — যদি দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।

বলিউডের বাস্তব উদাহরণ

বেশ কিছু সেলিব্রেটি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। সুষমিতা সেন অ্যাটাকের পর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করিয়েছেন, সুনীল গ্রোভারকে বাইপাস সার্জারি করাতে হয়েছে। কিন্তু কেকে ও সিদ্ধার্থ শুক্লার মতো তারকারা সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন।

এই ঘটনাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ চিনে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াটাই জীবন বাঁচানোর চাবিকাঠি।

চিকিৎসা যত দ্রুত, তত ভালো

ডা. সাংগোই বলেন, “হার্ট অ্যাটাক হলে সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না পেলে হৃদপিণ্ডের কোষ মারা যায়, যা মারাত্মক জটিলতা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। chest pain, বাম হাতে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ঘাম — এসবই সাধারণ লক্ষণ। অনেক সময় ডায়াবেটিক বা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে উপসর্গ অস্পষ্ট হয়, যা আরও বিপজ্জনক।”

এক রোগীর অলৌকিক রক্ষা

এক ৫২ বছর বয়সী রোগীকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে আনা হয় মারাত্মক হার্ট অ্যাটাক নিয়ে। তার হৃৎপিণ্ডের দুটি ধমনী প্রায় সম্পূর্ণ ব্লকড ছিল। রক্তচাপ ছিল অত্যন্ত নিচে, ওজন ১০০ কেজির বেশি — এবং মাত্র ১% বাঁচার সম্ভাবনা ছিল

তবে ডাক্তারদের সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিক অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ও ইনট্রা-অর্টিক বেলুন পাম্প (IABP) স্থাপন করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। একাধিক দিনের চিকিৎসা শেষে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং হাঁটাচলা করে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

দ্রুত চিকিৎসা = জীবন রক্ষা

ডা. সাংগোই বলেন, “হার্ট অ্যাটাক মানেই সব শেষ নয়। আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ টিম ও দ্রুত পদক্ষেপ থাকলে রোগীকে ফেরানো সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি সচেতন হই, উপসর্গ বুঝে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাই — তাহলে হাজারো জীবন বাঁচানো সম্ভব।”

নুসরাত

×