ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

শুধু ৮টি অভ্যাসে বাড়বে মনোযোগ, স্মৃতি ও যুক্তিশক্তি

প্রকাশিত: ২২:২৩, ১৮ জুলাই ২০২৫

শুধু ৮টি অভ্যাসে বাড়বে মনোযোগ, স্মৃতি ও যুক্তিশক্তি

ছবি: সংগৃহীত

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আধুনিক "ব্রেইন গেম" বা ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাস করার দরকার নেই — বরং ছুটির দিনেই কিছু সহজ অভ্যাস আপনার মনকে শানিত রাখতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রোববার রাত পর্যন্ত সময়টা যদি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগানো যায়, তবে স্মৃতি, মনোযোগ এবং সৃজনশীলতা বেড়ে যায় উল্লেখযোগ্য হারে।

গুগলের প্রাক্তন চিফ বিজনেস অফিসার মো গাওদাত জানান, সপ্তাহান্তে ‘নীরব রিসেট’ নেওয়া তার অভ্যাস। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনি ইন্টারনেট ও নির্ধারিত কাজ এড়িয়ে চলেন, কেবল চিন্তার জন্য সময় রাখেন। তার মতে, গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ মস্তিষ্ককে সজীব রাখে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিকভাবে সক্রিয় এবং সামাজিক জীবনধারা মানসিক অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়। আর সেজন্যই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন — সপ্তাহান্তের সময়টিকে চিন্তাশীলভাবে কাজে লাগাতে।

সপ্তাহান্তে মস্তিষ্ক সচল রাখার ৮টি কার্যকর অভ্যাস:

🔹 ১. শরীর নাড়ান মজার ছলে
ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্য নয়, মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। রান্নাঘরে নাচ, বন্ধুর সঙ্গে হাঁটা বা পাহাড়ে হাইকিং — যেকোনো ধরনের মজার চলাফেরা রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কাজ উন্নত করে।

🔹 ২. হাতে কিছু তৈরি করুন
রান্না, আঁকাআঁকি, গার্ডেনিং বা কাঠের কাজ — এ ধরনের হস্তশিল্প মনোযোগ ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।

🔹 ৩. বাদ্যযন্ত্র শিখুন
সপ্তাহান্তে গিটার বা বেহালার মতো বাদ্যযন্ত্র চর্চা মস্তিষ্কের মোটর স্কিল, শ্রবণশক্তি ও স্থানিক যুক্তি উন্নত করে — যা দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্ককে শক্তিশালী রাখে।

🔹 ৪. বাস্তবে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন
সামনাসামনি কথা বলা মস্তিষ্কের ভাষা, স্মৃতি ও আবেগ পরিচালনার দক্ষতা বাড়ায়। এক কাপ কফির আড্ডাও হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার বড় মাধ্যম।

🔹 ৫. নতুন কিছু চেষ্টা করুন
নতুন হাঁটার পথ, অচেনা রেসিপি বা স্থানীয় কোনো কর্মশালায় অংশ নেওয়া — মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করে তোলে এবং চিন্তার নমনীয়তা বাড়ায়।

🔹 ৬. সত্যিকারের বিশ্রাম দিন
গুণগত ঘুম, প্রযুক্তিমুক্ত সময় এবং একঘেয়েমি — সবই মস্তিষ্ককে নতুন সংযোগ তৈরির সুযোগ দেয়। "কিছু না করাও" হতে পারে বড় কাজ।

🔹 ৭. আনন্দের জন্য পড়ুন
কাল্পনিক বা বাস্তব গল্প পড়া মনোযোগ এবং তথ্য ধারণক্ষমতা বাড়ায়। সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রলিং নয় — একটি বই হাতে নেওয়াই বুদ্ধিদীপ্ত বিকল্প।

🔹 ৮. মনের ভাব লিখে ফেলুন
জার্নালিং বা দিনলিপি লেখা আপনার চিন্তা পরিষ্কার করে এবং মস্তিষ্কের পরিকল্পনা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। মস্তিষ্কের জন্য এটি এক প্রকার “ডিটক্স”।

বিশেষজ্ঞদের মতে, “সপ্তাহান্তে আপনি যা করেন, সেটিই নির্ধারণ করে আপনার মানসিক সুস্থতা কেমন থাকবে বছর জুড়ে।” তাই শুধু বিশ্রামের নাম করে অলসতা নয় — বরং সচেতন কিছু অভ্যাসই হতে পারে স্মার্ট বেছে নেওয়া পথ।

Mily

×