ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার ৯টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার ৯টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মের জনপ্রিয় ফল তরমুজ শুধু শরীরকে সতেজ রাখে না, এর রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত তরমুজ খেলে হৃদরোগ থেকে শুরু করে হজমশক্তি বৃদ্ধি পর্যন্ত নানা উপকার পাওয়া যায়।

তরমুজের প্রধান স্বাস্থ্য উপকারিতাসমূহ:

১. হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী: তরমুজে থাকা সিট্রুলিন রক্তনালী প্রসারিত করে, এবং লাইকোপিন ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত তরমুজ খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

২. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে: তরমুজে প্রায় ৯২% পানি এবং প্রচুর ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। এটি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে, ফলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ৩০ ক্যালোরি থাকে। এর ফাইবার উপাদান দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত কার্যকর বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

৪. চর্ম ও চুলের জন্য উপকারী: তরমুজে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে জরুরি। বিটা ক্যারোটিন ত্বককে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে এবং ভিটামিন এ চুলের গোড়া শক্ত করে।

৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ: তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ৭২। ফাইবার থাকার কারণে এটি রক্তে শর্করা ধীরে ধীরে বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমিত পরিমাণে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৬. পেশী ব্যথা কমায়: তরমুজে থাকা এল-সিট্রুলিন পেশীতে রক্ত ​​চলাচল বাড়ায় এবং ব্যায়াম পরবর্তী ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি পেশী পুনর্গঠনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৭. চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: লাইকোপিন ও ভিটামিন এ চোখের রেটিনাকে রক্ষা করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৮. বীজ ও খোসার উপকারিতা: তরমুজের বীজে রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক ও প্রোটিন, যা শরীরের জন্য উপকারী। এর খোসাও ফাইবার ও সিট্রুলিনে ভরপুর। বীজ ভেজে বা খোসার আচার বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

৯. প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার: ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ (যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম) হওয়ায় তরমুজ ক্লান্তি দূর করে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে।

পুষ্টিবিদ ডা. প্রীতি শর্মার মতে, "প্রতিদিন ২০০-৩০০ গ্রাম তরমুজ খেলে আপনি পেতে পারেন অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।"

কীভাবে খাবেন:

  • সকালে খালি পেটে এক বাটি তরমুজ খেতে পারেন।

  • স্মুদি বা জুস বানিয়ে পান করতে পারেন।

  • সালাদে যোগ করেও তরমুজ খাওয়া যায়।

সতর্কতা: কিডনি রোগীরা অতিরিক্ত তরমুজ এড়িয়ে চলবেন। একবারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন এবং বীজ ভালো করে চিবিয়ে খান।

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

সাব্বির

×