
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ন সদস্য সচিব ও জাতীয় যুবশক্তির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জানি কিভাবে গত ১৭ বছর এই সোনারগাঁও কে মাফিয়াদের আতুর ঘরে পরিণত করেছিল। সোনারগাঁওয়ের মানুষের মানবিক জীবন ছিল না- তারা ছিল শোষিত। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা সোনারগাঁওয়ের ব্যবসায়ীদের ও সাধারন মানুষকে শোষণ করেছে। সোনারগাঁওয়ে সত্যিকারের উন্নয়ন হয়নি। আর কোন মুজিববাদী ক্যাডার এমপি হতে পারবেনা। মুজিববাদী প্রেতাত্মদের আর কোন নেতৃত্বে আসতে দেওয়া হবেনা। এই তরুনরা মাফিয়া তন্ত্রকে ভয় করেনা। আমাদের হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টি সকল হামলা মামলার ভয় কে অতিক্রম করে বাংলাদেশ বিনির্মানে সোনারগা কে গড়বে। এই সরকার এক বছর পর এসে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তরুনদের কে সংসদে পাঠাতে হবে। সোনারগাঁও বাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই আপনারা যোগ্য তরুনদেরকে সংসদে পাঠান। তাহলে এই সোনারগাঁওয়ে আর কোন শামীম ওসমান আদিপত্য বিস্তার করতে পারবেনা। এই সোনারগাঁওয়ে আর কোনো মাফিয়াদের, আওয়ামী লীগের লুটেরাদের জন্ম হবেনা। এখানে জন্ম হবে নাহিদ ইসলাম সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার ১৮ জুলাই রাত ৮ টায় সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বিচার, সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত জুলাই পদযাত্রা ও পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ন মুখ্য সংঘঠক ইন্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল বলেন গত বছর জুলাইয়ের ১৭ তারিখে সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে সরকারের পেটুয়া ছাত্রলীগ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চেয়ে ছিল কিন্তু বন্ধ করতে পারেনি। এই জুলাইয়ের ১৮ তারিখে সবচেয়ে ভয়ংকর নগ্ন খেলা খেলেছিল। সকল কলেজ বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছিল। সরকারের টনক নড়েছিল। এই সোনারগাঁও ছিল সন্ত্রাসী গডফাদার ও মাফিয়াদের হাতে জিম্মি। আপনারা কি চান আবার তাদের হাতে এই সোনারগাঁও চলে যাক।
জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক তুহিন মাহমুদ বলেন, সোনারগাঁওয়ে ভবিষ্যৎটা আমরা ভলো ভাবে গড়তে চাই। যেখানে চাঁদাবাজি থাকবেনা। প্রতিহিংসার রাজনীতি থাকবেনা। সকলে মিলে মিশে সোনারগাঁওের উন্নয়ন করতে চাই।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সোনারগাঁও শাখার আহবায়ক সাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ন আহবায়ক খন্দকার পনিরের উপস্থাপনায় পথসভায় এনসিপি বক্তারা আরো বলেন, “মুজিববাদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ, যে লড়াই আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ঘোষণা করেছি, ফ্যাসিবাদবিরোধী সেই লড়াই সমাপ্ত না করা পর্যন্ত আমরা থামবো না।”
আমরা যে লড়াই শুরু করেছি তা চালিয়ে যাব। আমাদের সঙ্গে উপরওয়ালা আছেন, দেশের জনগণ আছেন। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সামনে আরও একটি লড়াই আসছে, আমরা তার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ মূখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল যুগ্ম আহ্বায়ক নেছার উদ্দিন কেন্দ্রীয় সংগঠক ঐশী আক্তার পৃথ্বী সংগঠক সাজেদুর রহমান, নির্মা আক্তার নিপা কেন্দ্রীয় সংগঠক মাজহারুল ইসলাম হানিফ কেন্দ্রীয় সংগঠক রাদিথ বিন জামান যুগ্ম সদস্য সচিব মো. আবু সুফিয়ান যুগ্ম সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন মন্জু কেন্দ্রীয় সংগঠক।
রাজু