ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

নারী ফুটবল দলের সামনে বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি: যে সমীকরণে মিলবে সুযোগ

প্রকাশিত: ১২:৫০, ৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৩:৫১, ৩ জুলাই ২০২৫

নারী ফুটবল দলের সামনে বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি: যে সমীকরণে মিলবে সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল! প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ঋতুপর্ণাদের দলটি। ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বটি ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবেও কাজ করবে, যা বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব মঞ্চে খেলার এক সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।

সম্প্রতি বাছাইপর্বে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এরপর 'সি' গ্রুপের অন্য ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে উত্তরণ নিশ্চিত হয়। ১৯৭৫ সালে শুরু হওয়া মেয়েদের এশিয়ান কাপ যেখানে বাংলাদেশ ২৩তম দল হিসেবে সুযোগ পেল। এখন পর্যন্ত ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী জাপানসহ মোট পাঁচটি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বাকি আটটি দল বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসবে।

২০২৬ সালের ১ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, গোল্ড কোস্ট ও পার্থের মোট পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এই নারী এশিয়ান কাপ। ২৯ জুলাই সিডনি টাউন হলে অনুষ্ঠিতব্য ড্রতে বাংলাদেশ কোন গ্রুপে কাদের বিপক্ষে খেলবে তা নির্ধারিত হবে। চূড়ান্ত পর্বে ১২টি দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া 'এ' গ্রুপে নির্ধারিত থাকলেও, বাকি ১১টি দল ১২ জুন প্রকাশিত সর্বশেষ ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন পটে (সম্ভবত বাংলাদেশ চার নম্বর পটে) রাখা হবে। গ্রুপ পর্ব শেষে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল এবং তৃতীয় হওয়া সেরা দুটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে, এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।

এই এশিয়ান কাপ ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে এশিয়া থেকে সরাসরি ৬টি দল এবং আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে আরও দুটি দল সুযোগ পেতে পারে। এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে ওঠা চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চারটি দল দুটি প্লে-ইন ম্যাচে মুখোমুখি হবে, যেখানে জয়ী দুটি দল বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। হেরে যাওয়া দুটি দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে অংশ নেবে। এছাড়াও, ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল ২০২৮ অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইপর্ব খেলার সুযোগ পাবে, যেখানে দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের নারী ফুটবলে খেলার সুযোগ পাবে। এই বিশাল সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঋতুপর্ণাদের দল বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে বদ্ধপরিকর।

সাব্বির

×