ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সিইসির সঙ্গে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

মুহাম্মদ শাহেদ রহমান, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত: ১০:০০, ৩ জুলাই ২০২৫

সিইসির সঙ্গে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

ছবি: জনকণ্ঠ

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)-এর সঙ্গে ব্যারিস্টার নাজির আহমদের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ভোটাধিকার অবিলম্বে পূর্ণভাবে নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলনরত “প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ”-এর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বুধবার (২ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দীর্ঘ বৈঠক করেন।

ঢাকার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার নাজির আহমদের নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট ডেলিগেশনের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন—যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার মো. ইকবাল হোসাইন, ব্যারিস্টার মোজাক্কির হোসাইন এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এম. রহমান মাসুম।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নেতৃবৃন্দ জানান, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আন্তরিকতার সঙ্গে নেতৃবৃন্দের কথা শোনেন এবং কমিশনের বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও সর্বপ্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।

বৈঠক শেষে প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পরে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বিস্তারিত আলোচনা ও মতবিনিময় করেন প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

এক প্রতিক্রিয়ায় ডেলিগেশনের নেতৃত্বদানকারী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, “দীর্ঘ আলোচনায় যথাক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয় ও নির্বাচন কমিশনার মহোদয়কে আন্তরিক বলেই মনে হয়েছে। তবে তাদের সামনে বহুমুখী বাধা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ১৪৭টি দেশে ছড়িয়ে থাকা দেড় কোটিরও বেশি প্রবাসীর ভোটাধিকার প্রয়োগ ও নিশ্চিত করা সহজ কাজ নয়। আমরা প্রবাসীদের ভোটার তালিকা প্রণয়নের বিভিন্ন পদ্ধতি, ভোট গ্রহণের উপায় ও মাধ্যম এবং কমিশনের দৃশ্যমান তৎপরতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাঁরা আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের কথা ও পরামর্শ শুনেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, গত ৫৪ বছরে রাজনৈতিক সরকারগুলো শুধু মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে, কিন্তু প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের অবদান ও ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো রাজনৈতিক ব্যাগেজ নেই। তাই এখনই সময়—এই সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন যদি প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করেন, তাহলে হয়তো আমরা জীবদ্দশায় এই অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাব না। সুতরাং যে কোনো মূল্যে আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই হবে। দেশের এক দশমাংশ ভোটারকে বাদ দিয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর নির্বাচন সম্ভব নয়।”

মুমু ২

×