ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

মালয়েশিয়ার রাতের অপরূপ সৌন্দর্য: আলোকছায়ার মোহময় শহরজীবন

শরিফুল খান প্লাবন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, মালয়েশিয়া

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২ জুলাই ২০২৫

মালয়েশিয়ার রাতের অপরূপ সৌন্দর্য: আলোকছায়ার মোহময় শহরজীবন

দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে মালয়েশিয়ার শহরগুলো রাতের পরশে যেন নতুন রূপ ধারণ করে। ঝলমলে আলো, সাজানো রাস্তাঘাট, রোমাঞ্চকর খাবারের স্টল আর আধুনিক স্থাপত্য মিলিয়ে রাতের মালয়েশিয়া পর্যটক ও প্রবাসীদের কাছে এক স্বপ্নপুরীর মতো অভিজ্ঞতা এনে দেয়।

বিশেষ করে রাজধানী কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টাওয়ার—রাতে যখন আলোয় ঝলমল করে ওঠে, তখন সেটি যেন এক বিশাল জ্যোতিষ্ক হয়ে শহরের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে। টাওয়ার চত্বরে অবস্থিত পার্কে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন অনেকেই। শিশুরা খেলে, তরুণ-তরুণীরা ছবি তোলে, আর জুটিরা হাতে হাত ধরে হেঁটে বেড়ান আলোকসজ্জায় ঘেরা সেই আবেশী পরিবেশে।

শুধু পেট্রোনাস নয়, বুকিত বিনতাং, আইসিটি শহর সাইবারজায়া কিংবা পুট্রাজায়ার নান্দনিক সেতুগুলোও রাতে একেকটি আলোকময় শিল্পকর্মে পরিণত হয়। পর্যটনের উন্নয়নে মালয়েশিয়া সরকার আলোকসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

রাতের মালয়েশিয়ায় প্রাণ ফিরে পায় স্ট্রিট ফুড কালচারেও। পাসার মালাম (সাপ্তাহিক রাতের হাট) মালয়েশিয়ার এক অনন্য ঐতিহ্য, যেখানে মালয়, চাইনিজ ও ভারতীয় নানা স্বাদের খাবার পাওয়া যায় একসঙ্গে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদেরও থাকে ব্যাপক উপস্থিতি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এখানে উন্নত। পুলিশের নিয়মিত টহল, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ এবং আধুনিক ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের কারণে অনেকেই রাতেও নিশ্চিন্তে বাইরে ঘোরাফেরা করতে পারেন।

শহরের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার গ্রামীণ রাতও কম নয় সৌন্দর্যে। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত নারিকেল গাছের সারি, ঝিরঝির বাতাসে দুলতে থাকা পাতাগুলো যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা এক নিসর্গচিত্র।

মালয়েশিয়ার রাতের এই দৃশ্য শুধু চোখ নয়, মনকেও মোহিত করে। যাঁরা নতুন এসেছেন, তাঁদের কাছে রাতের মালয়েশিয়া এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আর দীর্ঘদিন বসবাসকারী প্রবাসীদের কাছে প্রতিটি রাতই যেন পরিচিত সৌন্দর্যের নতুন ব্যাখ্যা।

মিমিয়া

×