
ছবিঃ জনকণ্ঠ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর সরব হয় প্রশাসন। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২৬ জুন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল ও মে মাসে জাটকা আহরণে বিরত থাকা ৪৬০ জন নিবন্ধিত জেলের জন্য জনপ্রতি ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও অনেকেই পেয়েছেন ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে।
স্থানীয়দের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখোয়াত হোসেন সরকার মুকুল এবং তার অনুসারীদের।
ধারাবাহিক গণমাধ্যম প্রতিবেদন ও জনমত গঠনের ফলে, ১ জুলাই দুপুরে এলাকায় সরেজমিন তদন্তে যান কমিটির সদস্যরা। তদন্ত কমিটির সামনে চেয়ারম্যান মুকুল ভিজিএফ বিতরণে অনিয়মের দায় স্বীকার করেন।
জানা গেছে, এলাকাবাসী ও জেলেদের তীব্র তোপের মুখে পড়ে, বিতরণে ঘাটতি মেটাতে ২ জুলাই সকালে চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে পুনরায় চাল বিতরণ করেন। এদিন তিনি ৪৬০ জন জেলের প্রত্যেককে অতিরিক্ত ১০ কেজি করে চাল দেন।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন জেলে বলেন, “সংবাদে না এলে হয়তো কেউই আমাদের কথা শুনত না। এখন অন্তত পুরো চালটা পেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, আমি বিষয়টি নিজে তদারকি করছি। এখানে মৎস্য কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড, রয়েছেন। আশা করছি সচ্ছতার ভিত্তিতে সঠিক তদন্ত হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, রিপোর্টে কী উঠে আসে এবং প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়।
আলীম