
ছবিঃ সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন উত্তাল হয়ে উঠে সারা দেশ।সেই সময়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে রংপুরের আবু সাঈদের শহীদ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চট্টগ্রামে ঘটে হৃদয় বিদারক ঘটনা। সন্ত্রাসীদের গুলিতে মুরাদপুরে সেদিন তিন তিনটি প্রাণ ঝরে পড়ে। স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুলিতে ওইদিন আহত হয়ে শহীদ হন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াসিম আকরাম।
মুহূর্তে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। বুলেটের ভয় উপেক্ষা করে ছাত্রজনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের এক দফা দাবিতে রাজপথে নেমে আসে।
রংপুরের আবু সাঈদের সাথে একই সময়ে শহীদ হয়েছেন চট্টগ্রামের ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম।
শহীদ ওয়াসিম আকরাম সরকারি চাকুরিপ্রার্থী ছিলেন না। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট রেজিমে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিমের চাকরি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। তাই কোটা সংস্কার নয়, বরং ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন শহীদ ওয়াসিম আকরাম। শহীদ ওয়াসিম আকরাম একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং ছাত্রদল নেতা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তার অংশগ্রহণের ইতিহাস সুদীর্ঘ। ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে ওয়াসিমের প্রতিরোধ গড়ার দৃশ্য আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়।
আওয়ামী পশুরা যখন আমার মাতৃভূমিকে খুবলে খাচ্ছে, তখন আমাদের ওয়াসিমের রক্তে জ্বলছে লক্ষ সূর্যশিখা। এই দুঃসময়ে ওয়াসিম কাউকে পেছনে ডাকেনি। সবাইকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রণক্ষেত্রে। ওয়াসিম বলেছিল, ' চলে আসুন ষোলশহরে'। ওয়াসিমের এই ডাক ছিল বিদ্রোহের বজ্রনিনাদ, অবরুদ্ধ জনপদে ফ্যাসিবাদের শিকল ভাঙার হুংকার।
গণতন্ত্রের প্রবল মন্ত্রে জাগ্রত স্বদেশের পতাকা হাতে তরুণ ওয়াসিম আকরাম ফ্যাসিবাদ পতনের যুদ্ধের বীর শহীদ। ওয়াসিমের রক্তে রঞ্জিত আমাদের সকলের বুক। ওয়াসিমের রক্ত ১৮ কোটি বাংলাদেশীর প্রাণের আবেগ, পুষ্পিত সৌরভ। ওয়াসিমের রক্তধারায় জাগ্রত বাংলাদেশ।
লেখকঃ সজীবুল ইসলাম সজীব, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট
নোভা