
ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই ভাবেন ফ্রিজ মানেই নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণ। কিন্তু জানেন কি? যদি নিয়ম মেনে না ব্যবহার করেন, তাহলে এই ফ্রিজই হয়ে উঠতে পারে ব্যাকটেরিয়ার আস্তানা! ঠান্ডা পরিবেশে কিছু ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে হলেও বেঁচে থাকে এবং খাবারকে দূষিত করে তোলে।
মাংস, মাছ, দুধ বা রান্না করা খাবার থেকে ফ্রিজে ছড়িয়ে পড়তে পারে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া। অনেকেই মাসের পর মাস ফ্রিজ পরিষ্কার করেন না। এই অভ্যাস ফ্রিজের ভিতর দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার ঘটায়।
ফ্রিজে খোলা খাবার রাখলে একটার গন্ধ বা জীবাণু অন্যটিতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই প্রতিটি খাবার ঢেকে বা এয়ারটাইট কন্টেইনারে রাখতে হবে। বিশেষ করে রান্না করা খাবার, দুধ ও তরলজাতীয় জিনিস অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে।
ফ্রিজে কাঁচা মাংস বা মাছের রস রান্না করা খাবারের গায়ে লেগে গেলে সংক্রমণ ছড়ায়। তাই কাঁচা ও রান্না করা খাবার অবশ্যই আলাদা ভাগে রাখতে হবে। কাঁচা জিনিস নিচের তাক এবং রান্না করা খাবার উপরের তাক বা শেলফে রাখা নিরাপদ।
ফ্রিজের ভেতর একবার ভালোভাবে তাকগুলো খুলে সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পরিষ্কারের সময় ফ্রিজ বন্ধ রাখুন এবং শুকিয়ে গেলে আবার চালু করুন। ডিপ ফ্রিজে বরফ জমে গেলে নিয়মিত গলিয়ে ফেলুন।
ফ্রিজে আদর্শ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে হওয়া উচিত, আর ডিপ ফ্রিজে -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বেশি হলে ব্যাকটেরিয়া সহজে বেঁচে থাকতে পারে। তাই থার্মোমিটার দিয়ে ফ্রিজের তাপমাত্রা মাঝে মাঝে চেক করুন।
ফ্রিজ মানে ‘জাদুঘর’ নয়। অনেকেই দিনের পর দিন পুরনো খাবার জমিয়ে রাখেন। এতে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাবার খেয়ে ফেলুন, আর মেয়াদোত্তীর্ণ বা পচা গন্ধযুক্ত জিনিস ফেলে দিন।
ফ্রিজ আপনার পরিবারের খাদ্যনিরাপত্তার অন্যতম উপকরণ। কিন্তু একটু অবহেলা করলেই এটি হয়ে উঠতে পারে ব্যাকটেরিয়ার আখড়া। তাই নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা, সঠিক ব্যবহার আর সচেতনতা দিয়েই আপনি রক্ষা করতে পারেন আপনার প্রিয় ফ্রিজ এবং নিজের পরিবারকে।
আবির