
ছবি: সংগৃহীত
বজ্রঝড়ের সময় আপনি ও আপনার প্রিয়জনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক মেনে চলা জরুরি। বজ্রপাত প্রাণঘাতী হতে পারে, তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়াই শ্রেয়। ঘরে থাকলেও, বাইরে থাকলেও কিছু ভুল এড়িয়ে চললেই জীবন বাঁচানো সম্ভব।
বজ্রপাত শুনলে বা দেখলে দ্রুত ঘরে চলে যান। ঘরের ভেতরে থাকলে যা করবেন না:
-
পানির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
গোসল, থালা ধোয়া বা পানির লাইনে হাত দেওয়া থেকেও বজ্রপাতের শক লাগতে পারে।
ধাতব পাইপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তবে প্লাস্টিক পাইপও শতভাগ নিরাপদ নয়। -
ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার বন্ধ করুন
কম্পিউটার, টেলিভিশন, গেমস, মাইক্রোওয়েভ বা অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। -
তারের ফোন ব্যবহার করবেন না
ডায়াল ফোন ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ, তবে মোবাইল বা ওয়্যারলেস ফোন নিরাপদ। -
জানালা-দরজা ও কংক্রিট দেয়াল থেকে দূরে থাকুন
কংক্রিটের ভেতর থাকা ধাতব রডের মাধ্যমে বজ্রপাত প্রবাহিত হতে পারে। -
পোষা প্রাণীকে নিরাপদে রাখুন
ধাতব কলার বা শিকল সরিয়ে ফেলুন। বন্যার মতো ঝড়েও তাদের আশ্রয় দিন।
বাইরে থাকলে যা করবেন
-
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখুন
পাহাড়, সমুদ্র বা খোলা জায়গায় যাওয়ার আগে আবহাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হন। -
বজ্রপাত দেখলে বা শব্দ শুনলে দ্রুত আশ্রয় নিন
গাড়ির মধ্যে বা শক্ত ছাদের নিচে থাকা নিরাপদ।
খোলা তাঁবু, গেজেবো, সেল্টার, গলফ কার্ট বা গাছের নিচে দাঁড়ানো বিপজ্জনক। -
সমুদ্র বা পানির ধারে থাকলে দ্রুত সরে যান
নৌকায় থাকলে উপকূলে ফিরে আসুন। বড় নৌকায় থাকলে ধাতব বস্তু থেকে দূরে থাকুন। -
খোলা মাঠে থাকলে নিচু হয়ে বসুন
পাহাড় বা উঁচু স্থানে থাকলে নেমে আসুন। মাটিতে শুয়ে পড়বেন না, বরং হাঁটু ভাঁজ করে মাথা নিচু করে বসুন। গাছের নিচে আশ্রয় নয়, বরং কম উঁচু গাছের আশেপাশে দাঁড়ান। -
গ্রুপে থাকলে দূরত্ব বজায় রাখুন
একসাথে থাকলে বজ্রপাত হলে অনেকেই আহত হতে পারেন। -
ধাতব বস্তু সঙ্গে রাখবেন না
গলফ ক্লাব, মাছ ধরার রড, ছাতা বা ধাতব ফ্রেমযুক্ত ব্যাগ না রাখাই ভালো। বিদ্যুৎ ধাতবে আকৃষ্ট না হলেও, এটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালক হিসেবে কাজ করে।
বজ্রাঘাত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা
-
প্রথমে সাহায্য ডাকুন
৯৯৯-এ ফোন দিন বা স্থানীয় জরুরি নম্বরে যোগাযোগ করুন। -
পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিন
আশেপাশে ঝড় চলছে কি না দেখুন। আহত ব্যক্তিকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার চেষ্টা করুন। -
সাড়া না পেলে শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করুন
নাড়ি আছে কি না দেখতে গলার (carotid) বা কুঁচকির (femoral) ধমনিতে হাত দিন। শ্বাস থাকলে অন্যান্য আঘাত খুঁজে দেখুন—পোড়া, ঝাঁকুনি, আঘাত ইত্যাদি। -
সিপিআর দিন
যদি কেউ নিঃশ্বাস না নিচ্ছে বা নাড়ি নেই, তাহলে মুখে-মুখে শ্বাস দিন ও বুক চাপ দিন (CPR)।
সাহায্য আসা পর্যন্ত চালিয়ে যান।
আবির