ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

কোলন ক্যানসারের ৫টি বিপজ্জনক লক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ১৬ জুলাই ২০২৫

কোলন ক্যানসারের ৫টি বিপজ্জনক লক্ষণ

ছবি: সংগৃহীত

কোলন ক্যানসার বা বৃহদান্ত্রের ক্যানসার এতদিন পর্যন্ত মূলত বয়স্কদের রোগ হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু সম্প্রতি তরুণদের মধ্যে এ রোগ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৯০ সালে জন্ম নেওয়া মিলেনিয়ালরা ১৯৫০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আমেরিকার ফ্লোরিডাভিত্তিক গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট ডা. জোসেফ সালহাব এই প্রবণতাকে উদ্বেগজনক বলে সতর্ক করেছেন এবং পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণের কথা জানিয়েছেন, যা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। সময়মতো ধরা পড়লে এই রোগের চিকিৎসা অনেকটাই সফল হতে পারে।

১. রেকটাল ব্লিডিং বা মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত
ডা. সালহাব জানিয়েছেন, কোলন ক্যানসারের সবচেয়ে উদ্বেগজনক লক্ষণগুলোর একটি হলো মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত। টয়লেট পেপারে বা মলের সাথে রক্ত দেখা দিলে তা যে রঙেরই হোক (গা dark ঢ় লাল বা উজ্জ্বল লাল), বিষয়টি অবহেলা করা উচিত নয়। যদিও এটি পাইলসের মতো সাধারণ কারণে হতে পারে, তবে বারবার হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

২. অজানা পেটব্যথা বা অস্বস্তি
বুকের ব্যথার মতো পেটব্যথাকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, বারবার ফিরে আসে, বা খাদ্যাভ্যাস পাল্টানোর পরও থেকে যায়, তা হতে পারে কোলন ক্যানসারের পূর্বাভাস। অনেক সময় এটি ফাঁপা ভাব, ক্র্যাম্প বা ভারী লাগা হিসেবে অনুভূত হয়।

৩. ক্লান্তি বা দুর্বলতা
নিয়মিত ঘুমের পরও যদি আপনি অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করেন বা দুর্বল লাগতে থাকে, তা অবহেলার বিষয় নয়। তরুণরা অনেক সময় কাজের চাপ বা ঘুম কম হওয়ার জন্য এটিকে দায়ী করেন, কিন্তু এটি ক্যানসারের অন্যতম মৌলিক লক্ষণ হতে পারে।

৪. পায়খানার অভ্যাসে পরিবর্তন
আপনার পায়খানার ধরণ যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিক থাকে যেমন অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অথবা সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তন, তবে তা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এটা কোলন ক্যানসারের একটি গোপন সংকেত হতে পারে।

৫. অন্যান্য উপসর্গ
ডা. সালহাব আরও কিছু প্রাথমিক লক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন, যেমন: অকারণে ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, রাতে ঘেমে ওঠা বা ঘন ঘন হালকা জ্বর হওয়া। এগুলো স্বতন্ত্রভাবে তেমন গুরুতর নাও হতে পারে, কিন্তু একসাথে দেখা দিলে তা কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

কেন তরুণদের ঝুঁকি বাড়ছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসের অবনতি, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, স্থূলতা এবং বংশগত জিনগত কারণ এর পেছনে দায়ী। এছাড়া, সময়মতো স্ক্রিনিং না হওয়ায় রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর নিয়মিত ক্যানসার স্ক্রিনিং করা হয়, কিন্তু তরুণদের মধ্যে রোগ শনাক্ত হলে সেটি তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।

কি করা উচিত?
আপনি যদি এই লক্ষণগুলোর কোনোটি নিজের মধ্যে লক্ষ্য করেন, অথবা পরিবারে কারও কোলন ক্যানসারের ইতিহাস থাকে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

মুমু ২

×