
ছবি: সংগৃহীত
অন্ত্রের সুস্থতা শুধু হজম নয়—এটি প্রভাব ফেলে আপনার মেজাজ, শক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপরও। কিন্তু শরীর সবসময় সরাসরি সংকেত দেয় না। অনেক সময় এটি নিঃশব্দে জানায় যে কিছু একটা ঠিক নেই। চলুন জেনে নিই এমন ৫টি নীরব সংকেত যা অন্ত্রের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে এবং যা অবহেলা করলে হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য জটিলতা।
১. নিয়মিত পেট ফাঁপা বা গ্যাস হওয়া
প্রতিদিন খাওয়ার পর পেট ফুলে যাওয়া, হালকা ব্যথা বা গ্যাস হওয়া—এসবকিছুই অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হতে পারে। মাঝেমধ্যে ফাঁপা হওয়া স্বাভাবিক হলেও নিয়মিত হলে তা আপনার অন্ত্র সমস্যার সংকেত।
২. ত্বকের সমস্যা
ব্রণ, একজিমা বা ত্বকে নিয়মিত র্যাশ দেখা দিলে সেটা শুধু বাইরের সমস্যা নয়, অন্তরের প্রদাহ থেকেও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের গাট ফ্লোরা দুর্বল তারা ত্বকের সমস্যায় বেশি ভোগেন। এ অবস্থায় ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া উপকারী।
৩. অনিয়মিত মলত্যাগ
দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এবং কখনো একভাবে আবার কখনো অন্যভাবে মলত্যাগের অভ্যাস অন্ত্রের সঠিক ব্যাকটেরিয়া না থাকার ইঙ্গিত দেয়। এই সমস্যা দূর করতে চাই প্রচুর ফাইবার, শাকসবজি ও পানি।
৪. অতিরিক্ত ক্লান্তি
যথেষ্ট ঘুমের পরও সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগলে বুঝবেন অন্ত্র থেকে শরীর ঠিকভাবে ভিটামিন বি, আয়রন বা অন্যান্য পুষ্টি গ্রহণ করতে পারছে না। ফলাফল: কম শক্তি, দুর্বল ইমিউনিটি। প্রোবায়োটিক ও পুষ্টিকর খাবার অন্ত্রের শক্তি বাড়ায়।
৫. ব্রেইন ফগ বা মানসিক অস্থিরতা
আপনার মন যদি ঝাপসা, মনোযোগহীন বা মনমরা থাকে, তাহলে অন্ত্রের সমস্যার কথাও ভাবতে হবে। গাট-ব্রেইন অ্যাক্সিস অনুযায়ী অন্ত্রের প্রদাহ মানসিক পরিষ্কার ভাব বা কগনিটিভ ফাংশন ব্যাহত করে। কম চিনি, কম প্রক্রিয়াজাত খাবার ও বেশি গাট-ফ্রেন্ডলি খাবার মস্তিষ্কে স্বস্তি ফেরায়।
শেখ ফরিদ