
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বলেছেন, “তারেক জিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানেই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ষড়যন্ত্র কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা আমরা জানি।”
বুধবার (গতকাল) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গোলাম নবী গার্লস হাই স্কুল মাঠে কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে “অশালীন ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারের” প্রতিবাদে।
তিনি বলেন,
“শেখ হাসিনার মতো একজন স্বৈরশাসককে এ দেশ থেকে শুধু বিদায় নয়, তার দলের এমপি-মন্ত্রীরা সকলেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে—এমন নজির পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই।"
তিনি আরও বলেন,
"সব দেশেই সরকার পরিবর্তন হয়। কোথাও হয় গণতান্ত্রিকভাবে, কোথাও হয় স্বৈরাচারী কায়দায়। কিন্তু এমনটা কখনো শুনিনি যে, পুরো একটা দল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।"
বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে কাজী ছাইয়েদুল আলম বলেন,
“আওয়ামী লীগের অনেক ভালো লোকও ছিল, কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের জলে ভাসিয়ে দিয়ে নিজে পালিয়েছেন। তিনি একবারও ভাবেননি, তাদের কী হবে। আমি সেই আওয়ামী লীগ ভাইদের বলতে চাই—এই দলে স্বপ্ন দেখে আর লাভ নেই।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন,
“শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের দেশের প্রতি কোনো ভালোবাসা ছিল না। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে, বিদেশি ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। মানুষ এসব পত্রিকার মাধ্যমে একে একে জানতে পারছে।”
তিনি আরও বলেন,
“শেখ হাসিনা যখন জান নিয়ে পালিয়ে যান, তখন তার শাড়ি-কাপড় নেওয়ার সময় পর্যন্ত ছিল না। তিনি জানতেন, ভারতে গিয়ে সব কিছু পাবেন। তাই বারোটি সুটকেস ভর্তি করে নিয়ে যান শুধু ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা-গয়না।”
“বাংলাদেশের মানুষ এই দৃশ্য কোনোদিন ভুলবে না। তাই বলছি—আওয়ামী লীগকে ভুলে যান। ভুলে যান আওয়ামী লীগ নামের কোনো দল এই দেশে ছিল,”—বলেই তিনি বক্তব্য শেষ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইজুদ্দিন আহাম্মেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
আঁখি