
ছবি: সংগৃহীত
সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং সামাজিক মাধ্যম বিশ্লেষণে উঠে এসেছে মুজিববাদী রাজনীতির দুইটি সুস্পষ্ট ধারা—একদিকে সহিংস রূপে সক্রিয় রক্ষীবাহিনী, অপরদিকে কালচারাল ও ইন্টেলেকচুয়াল বয়ান নির্মাতা গোষ্ঠী। ব্যাক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক স্ট্যাটাসে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই দুই ধারার সুনির্দিষ্ট চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন—
“মুজিববাদী রাজনীতির দুইটা ধারা বিদ্যমান।
১. রক্ষীবাহিনী - যাদেরকে গোপালগঞ্জে অস্ত্র, ককটেল নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করতে দেখা গেছে।
২. কালচারাল এবং ইন্টেলেকচুয়াল - যারা এই সন্ত্রাসীদের ভিক্টিম হিসেবে বয়ান উৎপাদনে নেমেছে। (অর্থের কাছে বিক্রি হওয়া কিংবা মুজিববাদী কালচারাল ফার্মে বড় হওয়া)।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘দেখুন কীভাবে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের ঘোষিত ব্যবস্থা গ্রহণকে ‘সাধারণ সমর্থকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চলছে। এটি একটি স্পষ্ট বয়ান রাজনীতি, যা মুজিববাদী সন্ত্রাসীদের পক্ষেই কাজ করছে। আজ অনেকের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’’
তার মতে, এইসব বয়ান নির্মাতা ও সন্ত্রাসের প্রচারক গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে রাখা আগামীর রাজনৈতিক বোঝাপড়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
রাষ্ট্রের নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে তা 'মানবাধিকার লঙ্ঘনের' মোড়কে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা নতুন কিছু নয়, তবে এবার তা আরও সংগঠিত ও সাংস্কৃতিক ভাষায় প্রকাশ পাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
আসিফ