ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রসীরা এখন জঙ্গী হামলা চালাচ্ছে

প্রকাশিত: ০০:০৮, ১৭ জুলাই ২০২৫

আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রসীরা এখন জঙ্গী হামলা চালাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় জঙ্গি কায়দায় হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। একইসঙ্গে হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে এনসিপি।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, "মুজিববাদী সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের গোপালগঞ্জের কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। গণঅভ্যুত্থনের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গি কৌশলে এই হামলা চালানো হয়েছে। গোপালগঞ্জ এখন ফ্যাসিস্টদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "সরকারকে এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ সেখানে সমাবেশ করতে পারবে না—এই মিথ আমরা ভেঙে দিয়েছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে যথাযথ সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নিয়েই সেখানে গিয়েছিলাম। যদি আগেভাগেই প্রশাসন কঠোর হতো, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা প্রশ্নবিদ্ধ।"

নাহিদ ইসলাম জানান, গোপালগঞ্জে সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন হলেও পরে মাদারীপুর ও শরিয়তপুরে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র ও গুলি নিয়ে তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন এবং ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রাণহানির খবরও রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “এটি তদন্তসাপেক্ষে নিশ্চিত হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাব।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব আকতার হোসেন। তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে কর্মসূচি শেষে যখন আমরা মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হই, তখনই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জঙ্গি কায়দায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয়তায় আমরা শেষপর্যন্ত নিরাপদে খুলনায় ফিরতে সক্ষম হই।”

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম, ডা. তাসনিম জারা, শামান্তা শারমিন, আমিরুল ইসলাম আদিব, সাঈদ নেওয়াজ, আহমেদ হামিম রাহাত প্রমুখ।

এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় পৌঁছান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের কড়া নিরাপত্তায় তারা শিববাড়ি মোড় থেকে মোল্লাহাট হয়ে নগরীতে প্রবেশ করেন। মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত নেতাকর্মী তাদের অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন।

ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে খুলনা ছাড়বেন এনসিপির জাতীয় নেতারা। ফরিদপুর-রাজবাড়ী অঞ্চলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

আসিফ

আরো পড়ুন  

×