ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই শহীদ দিবসের দিনে বেরোবির দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লেখা

বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১৬ জুলাই ২০২৫

জুলাই শহীদ দিবসের দিনে বেরোবির দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লেখা

ছবি: জনকণ্ঠ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জুলাই শহীদ দিবসের দিনে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে, যাত্রী ছাউনিতে লেখা হয়েছে ‘জয় বাংলা’। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থেকে বুধবার (১৬জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, যাত্রী ছাউনি, লাইব্রেরী ও বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে দেয়ালে এই স্লোগান দেখা যায়।এছাড়াও শেখ হাসিনা ফিরবে এই রকম লেখাও দেওয়ালে দেখা যায়। তবে প্রশাসন দেখার পরপরই লেখাগুলি কে বা কারা মুছে ফেলেছে এটা এখনো জানা যায়নি। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে যে সিসি ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের কোনো এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাত কে বা কারা লাল রঙের স্প্রে দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে বড় বড় অক্ষরে ‘জয় বাংলা’ ‘শেখ হাসিনা আসবেই’ লিখে যান। সকাল হলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে দেয়ালজুড়ে এই লেখা দেখতে পান।

শিক্ষার্থীরা জানান, নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের দোসররা রক্তে রঞ্জিত শহীদের ক্যাম্পাসে তাদের অবস্থান আমাদের জন্য ভয়ভীতির কারণ। সেই ২৪ এর ১৬ই জুলাই তারা ক্যাম্পাস ছেড়েছে, আবার সেই ২৫ এর ১৬ই জুলাইয়ে তাদের এই লেখা আমাদেরকে বড় হতাশ করেছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, জুলাইয়ের রক্তের দাগ না শুকাইতেই যারা আবারও মাথা উঠানোর বৃথা চেষ্টা করতেছে তাদেরকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, স্বৈরাচারের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না। যে কাম্পাস থেকে স্বৈরাচারের পতনের শুরু সে ক্যাম্পাসে যারা এই লেখাগুলো রাতের অন্ধকারে লেখার দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছেন তারা সাবধান হয়ে যান। আর যদি গুপ্ত বাহিনী হয়ে কেউ কাজ করতে চেষ্টা করেন তার জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। যে কোনো অপতৎপরতায় আমরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একতাবদ্ধ। খুনি হাসিনার পুনর্বাসন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে বেরোবি শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, আমরা বারবার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠনকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে শাস্তির আওতায় আনার কথা বলছি, কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার বিষয়টি বারবর পাশ কাটিয়ে গিয়েছে। আজ একই সাথে গোপালগঞ্জে যা হচ্ছে ঠিক তারই পরিকল্পনা হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে তারা ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার বার্তা দিচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই এই ধৃষ্টতা যে বা যারাই দেখিয়েছে তাদের প্রত্যেককে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানাই। আমরা আবু সাঈদের সহযোদ্ধারা এখনো ঘুমাইনি, আমাদের জুলাই এখনো চলছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বহিরাঙ্গন পরিচালক ড মো ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখি। ফুটেজ দেখে আইডেন্টিফাই এর চেষ্টা করব। তারপর ব্যবস্থা নিব। অবশ্যই তারা একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা হবে। আমরা আজকে আইসিটি সেন্টার থেকে ভিডিওটা কালেক্ট করব। এরপর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবির

×