
শিক্ষার্থীদের জীবনে পরীক্ষার চাপ, নির্ধারিত সময়সীমা (ডেডলাইন), ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা এবং পড়াশোনার ভার—সব মিলিয়ে মানসিক চাপ একটি নিয়মিত সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত স্ট্রেস না শুধু একাডেমিক পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে, বরং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ হয়ে ওঠে। তবে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে শিক্ষার্থীরা চাপকে জয় করে মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম হন।
বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের জন্য ৭টি কার্যকর উপায় তুলে ধরেছেন, যা নিয়মিত অনুসরণ করলে স্ট্রেস কমবে এবং ফোকাস বাড়বে।
১. গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস ও মেডিটেশন অনুশীলন করুন
প্রতিদিন মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস বা মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে অসাধারণ কার্যকর। এটি মনকে শান্ত করে এবং পড়ায় মনোযোগ বাড়ায়।
২. একটি সংগঠিত রুটিন তৈরি করুন
সুনির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী পড়াশোনা, বিশ্রাম ও বিনোদনের সময় নির্ধারণ করুন। এটা সময়ের অপচয় রোধ করে এবং অকারণে দুশ্চিন্তা এড়ায়।
৩. দৈনিক শারীরিক ব্যায়াম
হালকা হাঁটা, জগিং বা যোগব্যায়াম—যেকোনো শারীরিক অনুশীলন মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন হরমোন বাড়ায়, যা প্রাকৃতিকভাবেই স্ট্রেস কমায়।
৪. প্রযুক্তি ব্যবহারে ভারসাম্য আনুন
অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে মনোযোগ ব্যাহত হয় এবং মানসিক চাপ বাড়ে। সময়সীমা নির্ধারণ করে প্রযুক্তি ব্যবহার করলে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়।
৫. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন
প্রচুর ফলমূল, শাকসবজি, পর্যাপ্ত পানি এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য মন ও দেহকে চাঙা রাখে। চিনি ও ক্যাফেইনের অতিরিক্ত সেবন থেকে বিরত থাকুন।
৬. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শুধু শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে না, বরং একাগ্রতা ও স্মৃতিশক্তিও বাড়ায়।
৭. সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না
বন্ধু, পরিবার কিংবা কাউন্সেলরের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। নিজের অনুভূতি গোপন না রেখে শেয়ার করলে মানসিক চাপ অনেকটাই হালকা হয়।
পড়াশোনায় সফলতা পেতে হলে শুধু কঠোর পরিশ্রমই নয়, বরং সুস্থ মনের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। উপরের এই সাতটি অভ্যাস যদি শিক্ষার্থীরা নিয়মিত চর্চা করে, তাহলে তারা স্ট্রেস থেকে মুক্ত হয়ে আরও মনোযোগী ও ইতিবাচক জীবনযাপন করতে পারবেন।
Jahan