
ছবি: সংগৃহীত
পরীক্ষার চাপ, অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন, পড়াশোনার টেনশন — এসব মিলিয়ে ছাত্রজীবন অনেক সময়েই হয়ে ওঠে ক্লান্তিকর আর একঘেয়ে। মানসিক চাপের ভার একটু হালকা করতে চাইলে হাসির কিছু মুহূর্তই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর "থেরাপি"। আর সে কথায় একেবারে অনন্য নাম মিস্টার বিন।
এই বিশ্ববিখ্যাত নির্বাক কমেডি চরিত্র আমাদের এমন কিছু মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন, যা শুধু আনন্দই নয়, বরং হতাশা ভুলিয়ে নতুন করে দিন শুরু করার অনুপ্রেরণা দেয়।
নিচে রইল মিস্টার বিন-এর এমন ৯টি দুর্দান্ত মুহূর্ত, যা ক্লান্ত ছাত্রদের জন্য হয়ে উঠতে পারে হাসির অব্যর্থ ওষুধ—
১. পরীক্ষার হলে ধোঁকাবাজি করার ব্যর্থ চেষ্টা
মিস্টার বিন-এর সবচেয়ে বিখ্যাত দৃশ্যগুলোর একটি, যেখানে সে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র উল্টে পড়ে হতবাক হয়ে যায় এবং পাশের ছেলের খাতা দেখে নকল করার চেষ্টা করে। ফল? হাসির তুফান।
২. টাই বাঁধা নিয়ে যুদ্ধ
আয়নায় দাঁড়িয়ে টাই বাঁধার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেই নিজের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে যায়। ক্লাসে যাওয়ার আগে এমন বিভ্রান্তি কি আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে অনুভব করিনি?
৩. ট্রাফিক লাইটে দৌড় প্রতিযোগিতা
রাস্তার মোড়ে গাড়ির সঙ্গে ‘রেড লাইটে কে আগে যাবে’ সেই প্রতিযোগিতা সত্যিই চোখে পানি এনে দেয় হেসে হেসে।
৪. সুইমিং পুলে ডাইভ দেওয়ার ভয়ে লাফ না দেওয়া
উঁচু থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগের সেই ভয়, হাত-পা কাঁপা—ছাত্রজীবনের পরীক্ষার আগের রাতের মতোই পরিচিত অনুভূতি!
৫. ক্রিসমাস পার্টিতে আত্মবিশ্বাসে ঠাসা রান্না
চিকেনের ভিতরে নিজেই হাত ঢুকিয়ে রান্না করা আর একসময়ে হাত আটকে যাওয়া—মিস্টার বিনের এমন কাণ্ডে আনন্দে গড়াগড়ি খেতে হয়।
৬. বিছানার অ্যালার্ম বন্ধ করতে বিছানাই ধ্বংস করা
ঘুম থেকে উঠতে না চাওয়া মনের অবস্থা আমরা সবাই বুঝি—কিন্তু অ্যালার্ম বন্ধ করতে বিছানার মোটর খুলে ফেলা? শুধু মিস্টার বিন-ই পারেন!
৭. চার্চে ঘুমিয়ে পড়া আর হাঁচি আটকানোর চেষ্টা
প্রার্থনার সময় চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, আর পাশে বসে থাকা ভদ্রলোক অস্বস্তিতে! ছাত্রজীবনে ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়া অনেকের গল্পেই এমন মিল পাওয়া যাবে।
৮. ফোনে কথা বলা আর কান ভুল করে বোতলে লাগানো
স্মার্টফোন না থাকলেও বিনের বোকামি আর এক্সপ্রেশন বারবার মন জয় করে।
৯. নিজের জন্মদিনে নিজেই পার্টি আয়োজন করা
বন্ধু না থাকলেও মজা থেমে নেই—মিস্টার বিন একাই কেক কেটে উদযাপন করেন নিজের জন্মদিন। একাকীত্বেও খুশি থাকার শিক্ষা মিলবে এখানেই।
ছাত্রজীবনের কঠিন মুহূর্তগুলোতে একটু হেসে নেওয়াটাও জরুরি। মন ভালো করতে মিস্টার বিন-এর এই হাসির মুহূর্তগুলো শুধু বিনোদনই নয়, মানসিক রিলিফও দিতে পারে।
চাপ থাকুক পড়াশোনায়, হাসি থাকুক মনের ভেতর।
আঁখি