
তাইজুল ইসলাম
টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্তর পদত্যাগে শূন্য হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের আসন। এই দায়িত্ব পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম। যদিও ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তার নেই। তবু সুযোগ পেলে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষে হঠাৎ টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়েন শান্ত। এরপর থেকে এখনো অধিনায়ক ছাড়াই আছে সাদা পোশাকের বাংলাদেশ দল।
চলছে নতুন অধিনায়ক কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা। ৩৩ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার বলেছেন, ‘আমি মনে করি, অধিনায়ককে সময় দেওয়া উচিত। আমরা যদি অধিনায়কের ওপর বিশ্বাস রাখি, তা হলে দল ভালো খেলবে। (যদি নেতৃত্ব দেওয়া হয়) আমি এটা করতে পারব না তা তো নয়; কারণ আমার অভিজ্ঞতা আছে এবং এমন কিছু নেই যে আমি করতে পারব না।’ আগেও একবার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার নতুন করে তাইজুল আরও বলেছেন, ‘এর মানে এই নয় যে আমি এর জন্য (অধিনায়কত্ব) লোভী। এটা লাভজনক কোনো বিষয় নয়। অধিনায়কের একটা চিন্তা থাকা উচিত যে, দুই বছর পর সে তার দলকে কোথায় দেখতে চায়। যাকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হবে তার মাঝে সেই চিন্তাটা আছে কি না, সেটা টিম ম্যানেজমেন্ট এবং দলের কর্তাদের মাথায় রাখা উচিত।’ সুযোগ পেলে অধিনায়কত্ব করবেন কি না?
‘যদি সুযোগ আসে, কেন নয়? আমার মতে প্রতিটি অধিনায়কের একটি দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তিনি দলকে কোনো অবস্থানে দেখতে চান। আমি কেমন দল চাই এবং দুই বছর পর দলকে কোথায় দেখতে চাই সেই লক্ষ্যটা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ।’ মুশফিকুর রহিম ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে। অনেক আগেই অভিমানে অধিনায়কত্বের পাট চুকিয়েছেন তিনি। আর পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা না থাকায় মুমিনুল হককেও সরিয়েছে বোর্ড। ফলে নেতৃত্বের দৌড়ে এখন যারা আছেন, তাদের তালিকাটা বেশ ছোট। টেস্ট স্কোয়াডের নিয়মিত সদস্য লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাইজুল- এই তিনজনের মধ্যেই এখন টেস্ট অধিনায়কত্বের সম্ভাব্য উত্তরসূরি খোঁজা হচ্ছে।
তবে এগিয়ে আছেন মিরাজ। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার আবার ওয়ানডের অধিনায়কও। এখন বড় প্রশ্ন, বোর্ড কি তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ককেই রেখে দেবে, নাকি ভিন্ন কৌশল নেবে? যদি তিন অধিনায়ককেই রেখে দেওয়া হয়, তা হলে টেস্টের হাল ধরার দৌড়ে তাইজুল অনেকটাই এগিয়ে।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে সদ্য দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া শান্তর হাত ধরে। ১৪ টেস্টে ৪ জয়, এক ড্র ও ৯টি হারে তার সাফল্যের হার ২৮.৫৭ শতাংশ। তার পরেই আছেন সাকিব আল হাসান (১৯ টেস্টে ৪ জয়) ও মুশফিকুর রহিম (৩৪ টেস্টে ৭ জয়)। তবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা তাইজুলও এখন আলোচনায়।