ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরিতে পড়ে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান হাইকারের শেষ বার্তা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ৫ জুলাই ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরিতে পড়ে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান হাইকারের শেষ বার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ২৬ বছর বয়সী ব্রাজিলের তরুণী জুলিয়ানা মারিনস জীবন হারিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট রিঞ্জানি ট্রেকিং করতে গিয়ে। তিনি একটি ট্রেকিং দলের সঙ্গে ২১ জুন পাহাড়ে ওঠার সময় পা পিছলে প্রায় ৪৯০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যান। চারদিন ধরে তিনি আটকে ছিলেন সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে, কিন্তু ঘন কুয়াশা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীরা সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি।

ভ্রমণের শুরুতে জুলিয়ানা তার মা’কে একটি আবেগঘন মেসেজ পাঠান। তিনি লেখেন, “মামি, আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি। বিদায় জানাতে গিয়ে হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। সত্যি বলতে, তোমরা (তুমি, পাপি আর আমার বোন) যেন আমার উপর হতাশ না হও, এই ভাবনাটাই আমাকে কাঁদায়। বাকিটা নিয়ে আমার ভয় নেই।”

তিনি আরও লেখেন, “আমি এমন একজন নারীর দ্বারা বড় হয়েছি, যিনি যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারেন। তিনিই আমাকে শিখিয়েছেন ভয় না পেতে। আমারও স্বপ্ন আছে, আলাদা রকমের। আমি তোমাদের সবাইকে ভালোবাসি। এই ভালোবাসাই আমাকে সাহসী করেছে।”

জুলিয়ানা ছিলেন একজন পাবলিসিস্ট ও পোল ড্যান্সার, যিনি এশিয়ায় দীর্ঘ ভ্রমণে বের হয়েছিলেন গত ফেব্রুয়ারি থেকে। দুর্ঘটনার সময় তিনি জীবিত ছিলেন বলে ড্রোন ফুটেজে দেখা যায় এবং উদ্ধারকারীরা তার চিৎকারও শুনতে পান। কিন্তু ঘন কুয়াশা, দুর্গম পথের কারণে কেউ তার কাছে পৌঁছাতে পারেনি।

ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, নরম মাটিতে আটকে থাকায় দড়ি দিয়ে তাকে টেনে তোলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।

চতুর্থ দিন শেষে ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি তার মরদেহ উদ্ধার করে। ব্রাজিল সরকার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

লম্বক দ্বীপে অবস্থিত মাউন্ট রিঞ্জানি, ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি, যার উচ্চতা ১২,০০০ ফুটেরও বেশি। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হলেও, এর বিপজ্জনক পথ ও আবহাওয়ার কারণে প্রায়শই প্রাণহানি ঘটে। গত মাসেও এক মালয়েশিয়ান পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন এই পাহাড়ে ট্রেকিং করতে গিয়ে।

মুমু ২

×