ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

সিভি নিয়ে বিভ্রান্ত? এই টিপসেই কাজ হবে!

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৩:৫৪, ৫ জুলাই ২০২৫

সিভি নিয়ে বিভ্রান্ত? এই টিপসেই কাজ হবে!

ছ‌বি: সংগৃহীত

সিভি শব্দটির পূর্ণরূপ হলো ক্যারিকুলাম ভিটে, যার অর্থ “জীবনের পথ”। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো কিছু দেশে সিভি এবং রিজিউমে প্রায় একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশে সিভি বলতে বোঝায় একটি বিশদ প্রামাণ্য দলিল, যেখানে একজন ব্যক্তির শিক্ষাজীবন, গবেষণা ও অর্জন বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত শিক্ষকতা বা গবেষণার চাকরির জন্য সিভি জমা দিতে হয়। আর যদি বিদেশে কোনো চাকরির জন্য সিভি চাওয়া হয়, সেখানে আপনার রিজিউমে জমা দিলেও চলবে। চাকরির ওয়েবসাইটে আপনার সিভি বা রিজিউমে যোগ করলে নিয়োগদাতারা আপনার সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা জানতে পারবেন, ফলে ইন্টারভিউর ডাক পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।

সিভি লেখার সহজ পদ্ধতি

১. নিজের পরিচয় ও যোগাযোগের তথ্য দিয়ে শুরু করুন

সিভির শুরুতেই একটি পরিচিতিমূলক অংশ রাখুন। এখানে আপনার পুরো নাম, ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করুন, যাতে নিয়োগকর্তারা সহজেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

২. পেশাগত সারাংশ লিখুন

এখন একটি সংক্ষিপ্ত পেশাগত পরিচিতি যুক্ত করুন, যেখানে আপনি সংক্ষেপে নিজের মূল যোগ্যতা ও পেশাগত লক্ষ্য তুলে ধরবেন। এতে নিয়োগকর্তা আপনার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাবেন।

৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা বিস্তারিত দিন

যেহেতু সিভি সাধারণত শিক্ষা বা গবেষণা সংক্রান্ত চাকরির জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই এখানে আপনার শিক্ষাগত ইতিহাস উল্লেখ করা খুবই জরুরি। সর্বশেষ ডিগ্রিটি আগে উল্লেখ করুন, এরপর পুরনো ডিগ্রিগুলো দিন। চলমান পড়াশোনার বিষয়ও এখানে উল্লেখ করতে পারেন।

৪. পেশাগত অভিজ্ঞতা যুক্ত করুন

আপনার পেশাগত অভিজ্ঞতা পরিষ্কারভাবে দিন, যেন নিয়োগকর্তা আপনার পেশাগত পথচলা বুঝতে পারেন। এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন—

  • ফুলটাইম বা পার্টটাইম চাকরি

  • ইন্টার্নশিপ

  • গবেষণা প্রকল্প

  • ল্যাবরেটরি কাজ

  • স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ

  • মাঠ পর্যায়ের কাজ

প্রতিটি পদের নাম, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ও অবস্থান এবং চাকরির সময়কাল দিন। এর নিচে ২-৩টি বুলেট পয়েন্টে আপনার মূল দায়িত্ব ও কাজের বিবরণ উল্লেখ করুন।

৫. প্রয়োজনীয় দক্ষতা যুক্ত করুন

আপনার দক্ষতাগুলোর একটি তালিকা দিন, বিশেষ করে সেগুলো যেগুলো আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন—বিদেশি ভাষা, সফটওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা ইত্যাদি। চাকরির বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত দক্ষতাগুলো বিশেষভাবে দিন।

অতিরিক্ত বিভাগ (যদি প্রযোজ্য হয়)

সিভি সাধারণত রিজিউমের তুলনায় বড় হয়, তাই আপনি এখানে নিজের অন্যান্য অর্জনও উল্লেখ করতে পারেন। যেমন—

  • প্রকাশিত গবেষণাপত্র

  • উপস্থাপনা ও বক্তৃতা

  • সামাজিক সেবামূলক কাজ

  • গবেষণা অনুদান, ফেলোশিপ বা স্কলারশিপ

  • পুরস্কার ও সম্মাননা

  • পেশাগত সদস্যপদ

  • পরামর্শমূলক কাজ

  • মাঠ গবেষণা

  • বিদেশে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা

  • সম্মেলনে অংশগ্রহণ

এসব অংশ যোগ করলে আপনার পেশাগত পরিচিতি আরও সমৃদ্ধ হবে।

ব্যক্তিগত আগ্রহ (ঐচ্ছিক অংশ)

চাইলে আপনি নিজের ব্যক্তিগত আগ্রহ, শখ ইত্যাদিও সংক্ষেপে উল্লেখ করতে পারেন। এতে নিয়োগকর্তার সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি হতে পারে এবং তারা আপনাকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন।

আবির

×