ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

চট্টগ্রামে নতুন ফ্লাইওভার ও সড়ক সম্প্রসারণ: যানজট নিরসনে সিডিএ’র ২২০০ কোটি টাকার প্রকল্প

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৬:৪৩, ৫ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামে নতুন ফ্লাইওভার ও সড়ক সম্প্রসারণ: যানজট নিরসনে সিডিএ’র ২২০০ কোটি টাকার প্রকল্প

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ আট বছর পর চট্টগ্রাম শহরে আবারও একটি নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। যানজটপ্রবণ অক্সিজেন মোড় এলাকাকে কেন্দ্র করেই গড়ে তোলা হবে এই ফ্লাইওভার। একইসাথে বায়েজিদ থেকে কুয়াইশ পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ করে চার লেন থেকে ছয় লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুরো প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

 

সিডিএ জানিয়েছে, ফ্লাইওভারটিতে উঠা-নামার জন্য থাকবে সাতটি র‌্যাম্প।

* *বায়েজিদ মোড় থেকে* দুটি র‌্যাম্প যাবে যথাক্রমে *হাটহাজারী সড়ক* ও *কুয়াইশ সড়কের* দিকে।
* *হাটহাজারী সড়ক থেকে* দুটি র‌্যাম্প যাবে *বায়েজিদ* ও *মুরাদপুরের* দিকে।
* *কুয়াইশ সড়ক থেকে* একটি র‌্যাম্প যাবে *বায়েজিদের* দিকে।

প্রকল্পের ডিজাইনের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

 

 

প্রকল্পের আওতায় *অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক* সম্প্রসারণ করে ৯০ ফিট প্রশস্ত এবং ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। এখন এই সড়কটির কোথাও কোথাও প্রস্থ মাত্র ৪০ থেকে ৬০ ফিট। সড়ক সম্প্রসারণ ও ফ্লাইওভারসহ মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার।

প্রকল্প সূত্রে আরও জানা যায়, সিডিএ’র মাস্টারপ্ল্যানে অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক একটি প্রাইমারি সড়ক হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে।

 

উত্তর চট্টগ্রামসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে নগরীর অন্যতম প্রবেশপথ হলো অক্সিজেন মোড়। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক যানবাহন চলাচল করায় এই মোড়ে নিয়মিত যানজট সৃষ্টি হয়। নতুন ফ্লাইওভার ও সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই *দীর্ঘ যানজট নিরসন* হবে এবং উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত সহজ হবে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন,

“অক্সিজেন মোড়ের যানজট নিরসন এবং জনগণের সুবিধা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) তৈরির কাজ চলছে।”

 

 

 

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদিত *চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প* বাস্তবায়নে সময় লেগেছিল সাত বছরের মতো। প্রায় *৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত* এই প্রকল্পে ২০২৪ সালের আগস্টে পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচল শুরু হয় এবং ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায়ের মাধ্যমে চালু হয় এক্সপ্রেসওয়েটি।

নতুন প্রকল্পটিও সময়মতো ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের শহর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

 

ছামিয়া

×