
ছবি: সংগৃহীত
সোশ্যাল মিডিয়ার রাজা ফেসবুক দিনে দিনে হয়ে উঠছে অনেকের মানসিক চাপ ও উদ্বেগের প্রধান উৎস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ‘ডুম স্ক্রলিং’ বা একের পর এক পোস্ট দেখা, নেতিবাচক খবর আর অপরের সঙ্গে তুলনা করার অভ্যাস মানুষের মধ্যে হতাশা ও একাকীত্ব তৈরি করছে।
বিশ্বজুড়ে ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করলেও এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ফেসবুকে ব্যয় করছেন, তাদের মধ্যে উদ্বেগের সমস্যা ৪০% পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কিশোর-তরুণদের মধ্যে এটি মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
ঢাকার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাহমুদা নাসরিন জানান, “ফেসবুক যেমন তথ্যের সহজ মাধ্যম, তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহারে এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। বন্ধুবান্ধবের সুখের ছবি দেখে নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে হওয়া বা নেতিবাচক মন্তব্যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া, এগুলো সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
✅ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ফেসবুকে সময় না দেওয়া
✅ সপ্তাহে অন্তত একদিন ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ করা
✅ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে বাস্তব জীবনে সময় কাটানো
✅ নেতিবাচক পোস্ট বা কমেন্ট এড়িয়ে যাওয়া
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, তারা ব্যবহারকারীদের ভালো থাকার জন্য বিভিন্ন টুল চালু করছে। তবে ব্যবহারকারীদের সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আঁখি