
সংগৃহীত
বর্তমানে পেটের ক্যান্সার বা গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে খাদ্যাভ্যাসে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনে এই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নিচের পাঁচটি খাবার নিয়মিত খেলে পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
১. সাইট্রাস ফলমূল
লেবু, কমলা, বাতাবি লেবু প্রভৃতি সাইট্রাস ফল ভিটামিন সিও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এরা শরীরের ফ্রি র্যাডিকেল নষ্ট করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. পাতাযুক্ত ও সিও সবজি
বাঁধাকপি, ব্রকোলি, ফুলকপি, পালং শাক ইত্যাদি সবজি গ্লুকোসিনোলেট নামক যৌগ সমৃদ্ধ। এগুলো ক্যান্সার কোষ গঠনে বাধা দেয় এবং কোষের ডিএনএ সুরক্ষিত রাখে।
৩. রসুন ও পেঁয়াজ
এই দুটি খাদ্য উপাদান অ্যালিসিন নামক যৌগে সমৃদ্ধ, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বিশেষ করে হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামক জীবাণু, যা পেটের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ, তা দমনে কার্যকর।
৪.হোল গ্রেইন ও ডাল
ব্রাউন রাইস, ওটস, কোয়িনোয়া, মসুর ডাল ও ছোলা ইত্যাদি আঁশ সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বাড়ায় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সহজে বের করে দেয়।
৫. ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার
গাজর, কুমড়ো, পেঁপে, ভুট্টা ও ডিমের কুসুমে থাকা বিটা-ক্যারোটিন, লুটিন এবং লাইকোপিন শরীরের কোষকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
বিশেষ পরামর্শ:
- প্রক্রিয়াজাত মাংস ও অতিরিক্ত নুনযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিত।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ থেকেও বিরত থাকা জরুরি।
- হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি সংক্রমণ থাকলে চিকিৎসা করানো উচিত।
সুস্থ খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রস্তুত রাখা সম্ভব। প্রতিদিনের খাবারে ফল, সবজি, রসুন, ডাল ও সম্পূর্ণ শস্য যোগ করলে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যাবে।
হ্যাপী