
“দেশে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার ফয়সালা আগে করা জরুরি। ন্যূনতম একটি রেখা টেনে দিতে না পারলে সব ফয়সালা বাস্তবে রূপ নেবে না।” - একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের রাজনৈতিক আলোচনায় একথা বলেছেন বাংলাদেশের বাম নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, “আমরা এত বড় একটি গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত করলাম। সেটার আকাঙ্ক্ষার জায়গাটাই যদি ফয়সালা করা না যায়, তাহলে বাস্তবায়ন হলো কি হলো না, আমরা কোথায় যাব?”
রুহিন প্রিন্স মনে করিয়ে দেন, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি উত্তাল অবস্থায় আছে। তিনি বলেন, “কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। গত এক যুগ ধরে মানুষ রাস্তায় আছে। ছাত্র-জনতা নেমেছে, শ্রমিকরা আন্দোলন করেছে, হাজার হাজার সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছে। এরা কেউ আর এই সরকারের অধীনে বাঁচতে চায় না। আমরা বামপন্থীরা বারবার বলেছি, দুর্নীতির এই অবস্থা বদলাতে হবে।”
তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার কণ্ঠে যে আকাঙ্ক্ষার কথা শোনা যাচ্ছে তা ভোটের আকাঙ্ক্ষা। তারা আর কোনোভাবে বাঁচতে পারছে না। আমরা যারা রাজনৈতিক দল করি, তাদেরও নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা আছে। কিন্তু গণ-আন্দোলনের পরে বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি তাদের নিজস্ব চিন্তা জোর করে চাপিয়ে দিতে চাইছে, ফলে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এখন আর শুধু ক্রসফায়ার নয়। আপনি কথা বলবেন, সমাবেশ করবেন সেটারও অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। স্কুল-কলেজে পর্যন্ত সমাবেশ করতে দেয়নি। ছাত্ররা যে প্রোগ্রাম করেছে, সেটি দেখলেই বোঝা যায় মানুষ কতটা হতাশ আর ক্ষুব্ধ।”
প্রিন্স আরও বলেন, “যে সমস্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর বিচার মানুষ দেখতে চায়। কিন্তু মামলার নামে এমন জটিলতা তৈরি করা হয়েছে যে প্রকৃত খুনিরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। ভাটারা এলাকায় শুনেছি ২৩৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। একই ব্যক্তি ঢাকায় একটি খুন করছে, আবার অন্যত্রও খুন করেছে এরকম উদ্ভট মামলা হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীদের দমন না করলে এই দেশের মানুষ কখনোই আস্থা ফিরে পাবে না।”
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “সবাই সবকিছু চাইলেও একসাথে পাওয়া সম্ভব নয়। ন্যূনতম একটি নির্বাচনী সংস্কার দরকার। আমরা বলেছি ভালো নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজনীয়, তা দ্রুত করুন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। এরপর গণতন্ত্রের পথে হাঁটা যাক।”
মিমিয়া