
সংগৃহীত
ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বিশ্বের ১০টি ঐতিহাসিক দুর্গ
ঐতিহাসিক নিদর্শন, রাজকীয় স্থাপত্য আর হাজার বছরের গৌরবগাঁথা—এই তিনের অনন্য মিশেল পাওয়া যায় দুর্গে। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন দুর্গ শুধু পর্যটন গন্তব্য নয়, বরং তারা প্রতীক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক পরিচয় ও মানবসভ্যতার উত্তরণ চিত্রের। নিচে তুলে ধরা হলো এমনই ১০টি ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত দুর্গ, যেগুলো প্রতিটি পর্যটকের একবার হলেও ঘুরে দেখা উচিত।
ওয়ারউইক ক্যাসেল, ইংল্যান্ড
- নির্মাণ: ১১ শতক (১০৬৮ খ্রিস্টাব্দ)
- উইলিয়াম দ্য কনক্যোরার কর্তৃক নির্মিত
নয়ার্শভানস্টাইন ক্যাসেল, জার্মানি
- নির্মাণ: ১৮৬৯–১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ
- রাজা দ্বিতীয় লুডভিগের আদেশে নির্মিত রূপকথার দুর্গ
হিমেজি ক্যাসেল, জাপান
- নির্মাণ: ১৬০১–১৬০৯ খ্রিস্টাব্দ
- জাপানের সামন্তযুগে নির্মিত অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন।
বেলেম টাওয়ার, পর্তুগাল
- নির্মাণ: ১৫১৪–১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ
- ম্যানুয়েলিন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত একটি প্রতিরক্ষা টাওয়ার।
কনওয়ে ক্যাসেল, ওয়েলস
- নির্মাণ: ১২৮৩–১২৮৯ খ্রিস্টাব্দ
- রাজা এডওয়ার্ড প্রথম কর্তৃক নির্মিত, ইংল্যান্ড-ওয়েলস যুদ্ধের সময়।
ক্যাসেল অফ দ্য মোর্স, স্পেন (Castillo de los Moros)
- নির্মাণ: ৮ম–৯ম শতক খ্রিস্টাব্দ
- মুসলিম শাসনামলে নির্মিত, মোরিক স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম উদাহরণ।
পেনা প্যালেস, পর্তুগাল
- নির্মাণ: ১৮৪২–১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দ
- রোমান্টিক স্থাপত্যধারায় নির্মিত পর্তুগালের সবচেয়ে রঙিন প্রাসাদ।
এডিনবার্গ ক্যাসেল, স্কটল্যান্ড
- নির্মাণ: ১১ শতক (প্রথম দলিল ১১০৩ খ্রিস্টাব্দ)
- তবে স্থানটি প্রায় ৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকেই বসবাসযোগ্য ছিল।
শ্যাঁবোর্দ ক্যাসেল, ফ্রান্স (Château de Chambord)
- নির্মাণ: ১৫১৯–১৫৪৭ খ্রিস্টাব্দ
- রাজা ফ্রান্সিস প্রথমের রাজত্বে শুরু, রেনেসাঁ স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন।
ক্র্যাক দে শেভালিয়ার, সিরিয়া
- নির্মাণ: ১১১০–১১৭০ খ্রিস্টাব্দ (প্রাথমিক), পুনর্নির্মাণ: ১১৪২–১১৭০ খ্রিস্টাব্দ
- ক্রুসেডারদের শক্ত ঘাঁটি, সামরিক কৌশলগত কাঠামোর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ
এই দুর্গগুলো শুধু স্থাপত্যিক কীর্তি নয়, বরং মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়গুলোর সাক্ষ্য। প্রতিটি দুর্গে রয়েছে স্থানীয় সংস্কৃতির গন্ধ, ঐতিহ্যের রেশ এবং চিরন্তন সৌন্দর্য। আপনি যদি ইতিহাস ভালোবাসেন, অথবা রূপকথার রাজ্য ঘুরে দেখতে চান—তাহলে এই দুর্গগুলো আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য।
ইউনেস্কো স্বীকৃত এই দুর্গগুলো ঘুরে দেখা শুধু একটি ভ্রমণ নয়—এটি এক ধরনের টাইম ট্র্যাভেল। যেখানে সময় থেমে থাকে, কেবল গল্পগুলো বেঁচে থাকে। পরবর্তী গন্তব্য পরিকল্পনা করার সময়, এই ১০টি দুর্গের একটি অন্তত তালিকায় রাখুন—কারণ, ইতিহাসের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ পরিচয় আর কোথাও মেলে না।
হ্যাপী